হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর গৃহকর্তার আত্মহত্যা করেন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জ  চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের গাদিশাইল গ্রামে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছে সুর্যল হক (৪০) নামে এক ব্যক্তি। তবে এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। সুর্যল হক ওই গ্রামের আব্দুল হকের পুত্র। মৃত অন্যান্যরা হল, সুর্যল হকের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩৫) ও তার প্রতিবন্ধি সন্তান ইয়াছিন (১০)।

স্থানীয়দের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুর্যল হকের বড় ছেলে ইয়াছিন ছিল প্রতিবন্ধি। অভাবের সংসার ছিল সুর্যল হকের। তাই বড় ছেলে ইয়াছিনকে নিয়ে তার মা জেসমিন আক্তার ভিক্ষাবৃত্তি করতেন।  আর পিতা বাড়িতেই ব্যাথের কাজ  করতেন। এ অবস্থায় তারা খুবই কষ্টে জীবন-যাপন করতেন। ফলে তাদের সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকত প্রায়। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলত প্রায়ই।

তবে স্থানীয়রা জানায়, সুর্যল হক প্রায় সময় গাঁজা সেবন করে মাতলামি করতেন এবং তার স্ত্রীকে মারপিটও করতেন। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার উভয়ের মধ্যে পুনরায় বাকবিতন্ডা হয়। এর আগেও সুর্যল হক একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, অভাবের তাড়নায় পারিবারিক কলহের জের ধরে কোন একসময় স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও শিশু ইয়াসিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নিজেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন সুর্যল হক।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: শামছুল হক, মাধবপুর সার্কেল নির্মলেন্দু চক্রবর্তীসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি জানান, অভাবের তাড়নায় প্রায় সময় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ঘটনার দিন উভয়ের মধ্যে পুনরায় বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। তারপরও এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং লাশ তিনটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ ছাড়াও পিবিআই র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *