জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এর কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও সিলেট জেলা জেএসডির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিক বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তি সংগ্রামে আমাদের শ্রমিক, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষ সামনের সাড়িতে দাঁড়িয়ে সংগ্রাম করেছে এবং নেতৃত্ব দিয়েছে। শ্রমিক শ্রেণীর অসামান্য অবদানের কারণে আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। অথচ স্বাধীনতার ৫৪ বছর চলছে, তারপরও শ্রমজীবী মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার পাচ্ছে না। শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ব্যক্তি মালিকানার নামে অনেক ক্ষেত্রে শ্রমজীবী মানুষের ওপর শোষণের মাত্রা বৃদ্ধি করে লুটপাটের নতুন ধারা তৈরি করার হচ্ছে। শ্রমিকরা আজ তাদের ন্যায্য মজুরি পাচ্ছে না। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে তারা অনাহারে অধাহারে জীবন যাপন করছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই শ্রমিকরা অবহেলিত। এ দেশের চালিকা শক্তি হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষ। তাদেরকে যদি নায্য পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে। তিনি অভিলম্বে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
বুধবার (১লা মে) মহান মে দিবসের শপথ হউক “শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক, সামাজিক মর্যাদা ও মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠা” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মহান মে উপলক্ষে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সামনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোট (বা.জা.ফে-৩০) সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোট সিলেট জেলা শাখার সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য জেএসডির সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী শাহেদ কামাল টিটু, সমাজসেবী ও জালালাবাদ এসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য প্রিন্স বাহার চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলার আহবায়ক সাংবাদিক চৌধুরী দিলোয়ার হোসেন জিলন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোট সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রফিক মিয়া, শ্রমিক নেতা জুম্মান খান কানু, বেলায়েত হোসেন বেলু, আব্দুল গফফার সুইট, মাশুক আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে: অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিক
কমেন্ট