আপনাদের প্রতিহিংসার রাজনীতির বলি হয়েছে আমার ভাতিজা

আপনাদের প্রতিহিংসার রাজনীতির বলি হয়েছে আমার ভাতিজা। আপনাদের কারণেই সে খুন হলো। আপনার আর মুক্তাদিরের জিন্দাবাদ রাজনীতির শিকার সে। আমি অনেক ধৈর্য্য ধরেছি। আর পারছি না।’

কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এমনটি বলছিলেন মধ্যবয়সী লোকটি। তিনি নিহত ছাত্রদল নেতা ফয়জুল হক রাজুর চাচা দবির আলী। রোববার দুপুরে ওসমানী হাসপাতালের মর্গের সামনে নবনির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে এমন ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। বিব্রত মেয়রের তখন থতমত অবস্থা। মলিন মুখে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর চোখেও জল। আর রাজুর আবেগাপ্লুত চাচাকে জড়িয়ে ধরে স্বান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন সাবেক সাংসদ কলিম উদ্দিন মিলনসহ উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীরা।

তবে উপস্থিত ছাত্রদল নেতারাও তখন ক্ষুব্দ। তারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন আরিফুল হকের প্রতি। রাজু হত্যার সাথে জড়িত থাকার দায়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা আব্দুর রকিবের সাথে আরিফের সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করে উপস্থিত ছাত্রদল নেতারা বলেন- ‘রকিব আপনার ঘরেই থাকে। আপনি দুধকলা দিয়ে সাপ পোষছেন। আমরা কাজ করলাম। কিন্তু রেজাল্ট আনার পর কি হলো? এখন আপনি কি এ্যকশন নিচ্ছেন?’

নিহতের স্বজন ও ছাত্রদল নেতাদের অভিযোগে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন আরিফ। এসময় আরিফ গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বিজয়কে কালিমালিপ্ত করতেই একটি গোষ্ঠি পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তিনি এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।

শনিবার রাতে নগরীর কুমারপাড়ায় আরিফুল হকের বাসার সামনে ছাত্রদলের প্রতিপক্ষ গ্রুপের গুলিতে খুন হন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক ফয়জুল হক রাজু। সন্ধ্যায় সিটি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর আরিফুল হকের বিজয় মিছিল শেষে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আরো দুই ছাত্রদল নেতা আহত হন। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুর রকিব চৌধুরী এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। আব্দুর রকিব মেয়র আরিফের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *