নড়াইলে মানহানির মামলায় খালেদা জিয়ার ৬ মাসের জামিন

নিউজ ডেস্ক::  মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ও বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি করার অভিযোগে নড়াইলে করা মানহানির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী।

এ মামলায় গত ৫ আগস্ট নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে খালেদা জিয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাধীনতাযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে বলে মন্তব্য করেন।

এ ছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি। তার এ বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় প্রচার হয়।

মামলার বাদী নড়াইলের জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে বসে এ খবরটি পড়ে মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ হন।

পরে রায়হান ফারুকী বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে একটি মামলা করেন।

এদিকে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে নড়াইলের আদালতে ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে আরও একটি মানহানি মামলা করা হয়।

এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী সম্পর্কে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে ওই দিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামেও একটি মানহানি মামলা করা হয়।

মামলা দুটি করেন শহীদ শেখ জামাল জাতীয় স্মৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ আশিক বিল্লাহ।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *