নিজস্ব প্রতিবেদক- সুমন ইসলাম:: সিলেট নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডের ঘাসিটুলা বেতবাজার এলাকায় দীর্ঘদিন থেকেই ফার্মেসী ব্যাবসা করে আসছেন সবুজ দাস।মৃত্যুর দুই দিন আগেও ফার্মেসীতে অবস্থান করছিলেন।
যারা ফার্মেসীতে সবুজ দাসের স্বসংস্পর্শে আসছিলেন বা একই এলাকার বাসিন্দা তারা সবাই এলাকা মানুষের স্বার্থে নিজেদের পরিবারের স্বার্থে ১৪ দিন লকডাউনে থাকতে হবে।এবং জরুরী প্রয়োজন না হলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাতায়াত না করার জন্য আহবান জানিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে সবুজ দাসের পিতারও বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের বৈরাগীবাজারে ফার্মেসী ব্যবসা থাকায় বৈরাগীবাজার এ তিনটি পরিবারকে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের সহায়তায় লকডাউন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডঃ আলমগীর আহমেদ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ( ২৮ এপ্রিল ) সন্ধ্যায় করোসা আক্রান্ত হয়ে সিলেটের শহীদ ডা . শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসােলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় ।
সবুজ দাস নগরীর কালিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসক সুকুমার দাসের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলায় ।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ( আরএমও ) সুশান্ত কুমার মহাপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন । তিনি বলেন , করােনা আক্রান্ত যুবক মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় হাসপাতালে ভর্তি হন । সন্ধ্যায় তিনি মারা যান । ওই যুবকের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার পর প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সৎকার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় । স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক ডা . আনিসুর রহমান বলেন , করােনা আক্রান্ত হয়ে ওই যুবক হাসপাতালে ভর্তি হন । এছাড়া তিনি আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট , ডায়াবেটিস , উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রােগে ভুগছিলেন । অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর সন্ধ্যায় মারা যান ।