হাওরিয়া আলীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বন্ধ রাখেন প্রধান শিক্ষক

জামালগঞ্জ প্রতিনিধি:: জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের হাওরিয়া আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শাজাহান মিয়ার অলিখিত নিয়মে চলে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি সরকারি নিয়ম-নীতির কোনো তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয় প্রায়ই বন্ধ রাখেন। তাছাড়া নিজেও ছুটি না নিয়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। আবার বিদ্যালয়ে আসলেও দুপুর গড়াতে না গড়াতেই চলে যান।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ থেকে জানাযায়, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই প্রায়ই বিদ্যালয় বন্ধ রাখেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শাজাহান মিয়া। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে বাড়ি ফিরে যায়।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় সরেজমিনে গিয়ে বিদ্যালয়টি বন্ধ পাওয়া যায়। কোন কারণ ছাড়াই বিদ্যালয় বন্ধ কেন জানতে চেয়ে তাৎক্ষণিক এই প্রতিবেদক জামালগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শরিফ উদ্দিন ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী জাহানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তারা বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কোনো কারণ নেই।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনুপস্থিতির ছুটি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে শিক্ষা কর্মকর্তাগণ বলেন কোন শিক্ষকই ছুটি নেননি। তারা আরো বলেন,এই বিদ্যালয়ের ৩জন শিক্ষকের মধ্য ১জন প্রশিক্ষণে রয়েছেন। তবে অন্য দুইজন অবশ্যই নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার কথা।

বিদ্যালয় সংলগ্ন হাওরিয়া আলীপুর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা তারেক আহমদ জানান, আজ (৩ ফেব্রুয়ারি) সারাদিন ধরে বিদ্যালয় বন্ধ। কোন শিক্ষকই বিদ্যালয়ে না আসায় শিক্ষার্থীরা অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে চলে গেছে। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেলা ১১টায় বিদ্যালয়ে এসে আবার দুপুর দেড়টায় বিদ্যালয় ত্যাগ করে চলে যান। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শাজাহান মিয়া কারো কথা তেয়াক্কা করেন না বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শাজাহান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দম্ভোক্তি করে বলেন, আমার নাম শাজাহান। আমার ইস্কুল কোনদিনই বন্ধ থাকেনা। তখন বিদ্যালয়ের সংলগ্ন ইমামের বক্তব্য বলা হলে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, এই ইমাম সাব আবার কেডা…?
আমার নাম শাজাহান। এক পর্যায়ে তিনি এই প্রতিবেদককে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *