কোড অব কন্ডাক্ট না মানলে চলে যান: কূটনীতিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:: ঢাকা সিটি নির্বাচনে কূটনীতিকদের নাকগলানোর ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেছেন, (কূটনীতিকদের) নিজের কাজ বাদ দিয়ে তারা আমাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নাক গলাচ্ছেন। এটা উচিত নয়। ডিপ্লোমেটরা কোড অব কন্ডাক্ট মেনে কাজ করবেন বলে আশা করি। তবে যারা কোড অব কন্ডাক্ট মানবেন না তাদের দেশ থেকে চলে যেতে বলা হবে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন উপলক্ষে ডিপ্লোমেটরা ব্রিটিশ হাইকমিশনে মিলিত হয়েছেন। এরকম এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এভাবে তার বিরক্তি প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম-২০২০’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন।

আবদুল মোমেন বলেন, সিটি নির্বাচন ফার্স্ট ক্লাস ও আদর্শ হবে। অত্যন্ত স্বচ্ছ হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চীন থেকে ৩৭০ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরতে চান। আমরা তো তাদের আনতে রেডি। যখনই তারা আসতে চাইবে এবং চাইনিজ সরকার অ্যালাও করবে আমরা সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে আসব। শুনেছি কোনো কোনো দেশ তাদের কূটনীতিকদের নিয়ে গেছে সেই ফাঁকে যদি অন্য কাউকে নিয়ে যায় সেটা জানি না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের যারা ছেলেমেয়ে আছে প্রায় ৩৭০ জনের তালিকা করা হয়েছে। ২২টি প্রতিষ্ঠানে ওরা ছড়িয়ে আছে। বিশেষ করে ইউহানের কথা বলছি, এমনিতেই চাইনিজরা যেটা করেছে সেটা হচ্ছে তাদের অসুখ-বিসুখ হলে চাইনিজ সরকার চিকিৎসা দেবে। আর আমরা এখানে মোটামাটিভাবে রেডি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের আসার সিদ্ধান্ত হলে ইউহান থেকে বাসযোগে আনতে হবে এয়ারপোর্টে, ৩৭০ জন হলেও আমাদের ৪১৯ জনের কমার্শিয়াল ফ্লাইট আছে। আমরা সেটা পাঠিয়ে দেব। তবে চাইনিজরা সময় নির্ধারণ করে দেবে। তারপরই আমরা ফ্লাইট পাঠাব।’

বিষয়টি কি চাইনিজদের ওপর নির্ভর করছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ওনাদের ?ওপরই নির্ভর করছে। চীন সরকারের ওপর মাতাব্বরি করতে চাই না। তবে এটুকু বলি যে, কিছুসংখ্যক ছাত্রছাত্রী তারা আবার বলেছে আসবে না। ১৫ জন শিক্ষার্থী বলছে যে, তারা দেশে এসে অসুস্থ হলে দেশের অমঙ্গল হবে। তাই তারা দেশে আসতে চান না।

৩৭০ জন এলে তো অসুখ-বিসুখের আশঙ্কাটা থেকে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সেটা মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। তারা ফিরলে আমরা আলাদাভাবে রাখব এবং অবজার্ভ করব।’

বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন আইল্যান্ডে তাদের রাখার ব্যবস্থা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের তো সে ব্যবস্থা নেই। তবে আমরা হাসপাতালে রাখব। কোনো হাসপাতালে রাখার বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঠিক করবে। আনার দায়িত্ব আমাদের। আনার পর দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনও কোনো করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি। এখন পর্যন্ত চীন ভ্রমণের কোনো নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আমরা আতঙ্কিত হতে চাই না।’

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *