মৃত্যুর ৮ দিন পর দেশে এলো বিএসএফের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশির লাশ

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:: যশোরের অগ্রভুলোট সীমান্তে ভারতের সীমান্ত রক্ষী-বিএসএফের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারত।

ভারতে মৃত্যুর আট দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার হানেফ আলী খোকা (৩৫) নামের ওই যুবকের লাশ বাংলাদেশে পাঠানো হলো।

হানেফ আলী মরদেহ দেশে আনা হয়েছে নিশ্চিত করে বেনাপোল স্থলবন্দরের অভিবাসন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খোরশেদ আলম বলেন, বেলা দুইটা ১০ মিনিটে হানেফ আলী খোকার মরদেহ পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন হয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে আসে। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ নিয়ে যান।

উল্লেখ্য, নিহত হানেফ আলী যশোরের শার্শার অগ্রভুলোট গ্রামের বাসিন্দা।

গত ২৩ জানুয়ারি দুপুরে ভারতের বন্যাবাড়ীয়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা হানেফ আলী খোকাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।

পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে হানেফের স্বজনরা তার মৃত্যুর খবর জানতে পারেন।

ছেলের লাশ ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন নিহতের বাবার শাহাজান আলী।

এ বিষয়ে অগ্রভুলোট বিজিবি ক্যাম্প ইনচার্জ নায়েব সুবেদার মোজাম্মেল হোসেন জানিয়েছিলেন, হানেফ আলী খোকার মরদেহ আনতে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তারা কোনো ডকুমেন্ট ছাড়াই মরদেহ ফেরত দিতে চেয়েছিল। বিষয়টিতে আমরা রাজি না হওয়ায় মরদেহ ফেরত দেয়নি তারা।

হানেফের মৃত্যুর বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য তবিবুর রহমান জানিয়েছিলেন, গত ২২ জানুয়ারি ভারত থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে হানেফ। বিএসএফ সদস্যরা তাকে বেধড়ক পেটায়। একপর্যায়ে তিনি মারা যান।

হানেফ আলী খোকার চাচা শহিদুল ইসলাম বলেন, আড়াই মাস আগে ঋণ করে দুবাই গিয়েছিলেন হানেফ। কিন্তু এক মাস থাকার পর এক জটিলতার কারণে তাকে দেশে ফিরে আসতে হয়। এতে তার দায়দেনা আরো বেড়ে যায়। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই তার ঝগড়া হতো। গত ২০ জানুয়ারি স্ত্রীর ওপর রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর অবৈধভাবে তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মধ্যমগ্রামে তার মামার বাড়িতে যান। গত ২২ জানুয়ারি সকালে তিনি সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভারতের বন্যাবাড়ীয়া সীমান্তে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন। বিএসএফ তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করলে তার মৃত্যু হয়।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *