শহরতলির বাদাঘাটে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এমাসের ১৮ তারিখে এটির উদ্বোধনের কথা রয়েছে। আধুনিক সুযোগ সুবিধাসংবলিত সিলেট কেন্দ্রীয় বাইরের জায়গায় থাকছে কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য ১৩০ টি ফ্ল্যাট, ক্যান্টিন, বন্দিদের সাথে সাক্ষাতকার রুম, এডমিন অফিস, সেন্ট্রাল মসজিদ, এছাড়া স্টিল স্ট্রাকচারড ভবন আছে চারটি, একটি স্কুল। যার প্রতিটি ভবনের নির্মান কাজ সম্পূর্ণ।ভেতরের জায়গায় আছে পুরুষ হাজতি, কয়েদিদের জন্য ছয়তলা বিশিষ্ট চারটি এবং নারী হাজতি ও কয়েদিদের জন্য তিনটি চারতলা ও দুটি দোতলা ভবন। এ ছাড়াও কারাগারের পশ্চিম পাশে বন্দিদের আধুনিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ১০০ শয্যা বিশিষ্ট পাচঁতলা হাসপাতাল, ২০ শয্যা বিশিষ্ট দোতলা মানসিক হাসপাতাল তাছাড়াও টিবি রোগীদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে ২৫ শয্যা বিশিষ্ট দোতলা টিবি হাসপাতাল। কারাগারের চারপাশে উচু সীমানা প্রাচীর ও ভেতরে অভ্যন্তরীন সীমানা প্রাচীরের কাজ শেষ হয়েছে।
বাদাঘাটে কারাগার চলে গেলেও পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারটি আপাতত: কারাগার হিসেবেই থাকছে। এই মুহূর্তে কারাগারের কোন ধরনের পরিবর্তন করা হবেনা।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত সোমবার (১ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসক মিলনায়তনে সিলেট জেলার সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় কালে এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেছেন কারাগার স্থানান্তরের পরও যাতে পুরাতন কারাগারে আটক আসামী, কয়েদী,বন্দিদের রাখার পরিবেশ বজায় থাকে।
পুরাতন কারাগারের স্থানে একটি সবুজ পার্ক নির্মাণের কথা থাকলেও তা আগামী নির্বাচনের আগে হবার কোন সম্ভাবনা নেই। পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদল ২০১৪ সালের মতো সহিংস আচরণ করলে তাদেরকে ব্যাপকহারে আটক করা হতে পারে। আর তখন সিলেটের পরিত্যাক্ত এই কারাগারটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হয়ে ওঠবে।