সরকারি কর্মচারীরা অবাধে ব্যবহার করছেন রেজিস্ট্রেশন বিহীন মোটরবাইক!!

সাহেদ আহমদ:: অতীতের মত সিটি করপোরেশন এর পানি বিভাগ, বিদুৎ বিভাগ, টেক্স বিভাগ, ট্রেড লাইসেন্স বিভাগ এর নাম করে কিছু সংখ্যক বাইক বাস্তায় দেখা যাচ্ছে, যা মোটরবাইকের নাম্বার প্লেটের জায়গায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নাম ব্যবহার করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন রাস্তায় অবাধে চললেও এ বিষয়ে প্রশাসনের কোন সুনজর নেই। এতে বাড়ছে সড়কে বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি। আর এসব সরকারি কমকর্তার মোটরসাইকেলগুলো ট্রাফিক আইনের কোনো তোয়াক্কা করছে না। সিগন্যাল উপেক্ষা করছে অধিকাংশ সময়। এমনকি উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে অবাধে ফুটপাথেও চলাচল করছে।

যানজটবহুল রাস্তায় অপেক্ষা না করে দল বেঁধে ফুটপাথ দিয়ে চলাচল করছে মোটরসাইকেল। ফলে পথচারীরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। এমনকি পথচারীদের কেউ বিরক্তি প্রকাশ করলে তাকে হেনস্তা করতেও দেখা গেছে। প্রতিবাদ করলে মোটরসাইকেল আরোহীরা পথচারীদের গালাগাল করে চলে যান। ফুটপাথে মোটরসাইকেল চলাচল করায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সময় বাঁচাতে নিয়ম ভেঙে মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন চালকরা। সিগন্যালে বেশি সময় আটকে থাকলে অধৈর্য বাইকাররা ট্রাফিক পুলিশকেও উপেক্ষা করে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তীব্র হর্ন দিয়ে বেপরোয়া গতিতে ফুটপাথের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলার দৃশ্যও যেন শহরে স্বাভাবিক হয়ে গেছে। পথচারীরা বলছেন, ফুটপাথ হচ্ছে পথচারীদের হাঁটার জন্য। কিন্তু আমাদের ফুটপাথ পথচারীদের জন্য নয়। ফুটপাথে অনেক রকম বিশৃঙ্খলার সঙ্গে মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা যাচ্ছে না। প্রায় প্রতিদিনই পথচারীদের সঙ্গে মোটরসাইকেল চালকদের ঝগড়া এমনকি হাতাহাতিতে রূপ নিচ্ছে।

এবিষয়ে মোবাইল ফোনে বি আর টি এ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আইন সবার জন্য সমান, তিনি সরকারি কমকর্তা হোন আর যেই হোন। মোটরসাইকেল সড়ক নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। এ জন্য এসব যানবাহনের চালকদের বাধ্যতামূলকভাবে হেলমেট পরা, গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে রাখাসহ ট্রাফিক আইন মেনে চলাচলে কার্যকর পদক্ষেপ আমরা ইতিমধ্যেই নিয়েছি। তিনি বলেন, মানুষ দ্রুত তার গন্তব্যে যেতে চায়। এ জন্য গতিহীন সড়কে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়ছে। যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হলে মোটরসাইকেল নিয়ে এত দুর্ভাবনার কারণ হতো না। তাছাড়া তিনি আরো বলেন আগামীতে যাতে কেও নম্বরপ্লেট বিহীন মোটরবাইক ব্যাবহার করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং সরকারি সকল দপ্তরে চিঠি মাধ্যমে এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। এর পরেও যদি রাস্তায় এ রকম কাউকে পাওয়া যায়, তবে পুলিশ প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া আছে!

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শহরের ব্যস্ত সড়কে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া অত্যন্ত ‘উদ্বেগজনক’। তাছাড়াও এসব অবৈধ রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরবাইক সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যু ঝুঁকির বিবেচনায় অত্যন্ত বিপজ্জনক বাহন। কারণ দেশের মোট সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ ঘটে মোটরসাইকেলের কারণে। বিশেষ করে তরুণ আরোহীরা মোটরসাইকেল চালালে তাতে গতির কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এ জন্য সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের সম্পৃক্ততা ও তরুণ আরোহীদের মৃত্যু তুলনামূলকভাবে বেশি।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *