অপরিকল্পিত ও অবৈধ বিলবোর্ডে ভরে গেছে সিলেট সিটি!!

সাহেদ আহমদ:: সিলেট সিটিতে কিছু বৈধ বিলবোর্ডের বাইরে রয়েছে শতাধিক অবৈধ বিভিন্ন আকৃতির বিলবোর্ড। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, শহরে অবৈধ বিলবোর্ডের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অন্যদিকে বৈধ বা অবৈধভাবে বিলবোর্ড স্থাপনের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না কোনো নীতিমালা। অবশ্য বিলবোর্ড স্থাপনে কাঠামোগত কোনো নীতিমালা না থাকায় যে যেভাবে পারছে যেখানে-সেখানে বিলবোর্ড স্থাপন করছে। আর এ সব বিলবোর্ড শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করার পাশাপাশি বিভিন্ন ভবনকে ভূমি-কম্পসহ নানা দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে ফেলছে।

একেকটা বিলবোর্ড পরিণত হয়েছে মৃত্যু ফাঁদে।সরজমিনে সিলেট সিটি ঘুরে দেখা যায় যে, নগরীর জিন্দাবাজার,চৌহাট্টা,আম্বরখানা, সুবিদবাজার,রিকাবীবাজার,বন্দরবাজার,শাহী ঈদগাহ, উপশহর, টিলাগড়সহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ও পয়েন্টে রয়েছে এসব বিলবোর্ড। যা অল্প বাতাসে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এতে করে নগরী নাগরিক চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।পাবলিকপ্লেসে অপরিকল্পিত ও ঝুঁকিপূর্ণ বিলবোর্ড লাগানোর কারণে একদিকে সাধারণ মানুষের চলাচল যেমন ব্যাহত হয়, অন্যদিকে নির্মাণে ত্রুটির কারণে কখনো যদি নিজস্ব ভারে ভেঙে পড়ে বিলবোর্ডগুলি, তাতে সৃষ্ট দুর্ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটবার সম্ভাবনা থেকেই যায়। বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, সিলেট সিটি ও অত্র এলাকায় যত অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ বিলবোর্ড আছে এগুলো সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই চলে। এসমস্ত ঝুঁকিপুর্ণ বিলবোর্ডগুলির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ঘটে যেতে পারে স্মরণ কালের ভয়াবহ দূর্ঘটনা। এ ব্যাপারে উদাসীন কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙানোটা অতীব জরুরী এবং সবচেয়ে বড় সমস্যা হল বিজ্ঞাপনী সংস্থা, ভবন মালিক ও সিলেট সিটি করপোরেশনের কাজের মধ্যে সমন্বয় না থাকা। বিজ্ঞাপনী সংস্থা মনে করে, ট্যাক্স যেহেতু সিটি করপোরেশন আদায় করে তাই বিলবোর্ডের নিয়ন্ত্রণ করবে তারা। অন্যদিকে সিটি করপোরেশন মনে করে, ব্যাক্তি মালিকানাধীন ভবনের ছাদগুলো নিজস্বভাবে ভাড়া দেওয়া হয়।

তাছাড়া বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে ভাড়া দেয়ার সময় তাদেরকে সব নিয়মনীতি বুঝিয়ে দেওয়া হয় সেহেতু ছাদে বা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিলবোর্ড স্থাপনের নিয়ন্ত্রণ বিজ্ঞাপনী সংস্থা বা ভবন মালিকদের করা উচিত। তারপরেও সিটি করপোরেশন মাঝে মাঝে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে থাকে!

মূলত এভাবে একে অন্যের ওপর দায় চাপানোর প্রবণতার কারণে অবৈধ বিলবোর্ডের সংখ্যা বাড়ছে। আর অপরিকল্পিত হওয়া এ সব বিলবোর্ড দুর্ঘটনার প্রবণতাও বাড়াচ্ছে। তাছাড়াও সরকার এ খাত থেকে প্রচুর পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে!

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *