সিলেট জুড়ে হাজার ও অবৈধ অটোরিক্সা মানছেনা ট্রাফিক আইন

সাহেদ আহমেদ :: সিলেট শহরের বিভিন্ন রাস্তায় শতাধিক লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন সিএনজি চলছে। সিলেট সদরের সড়ক সহ উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে এসব সিএনজি গাড়ি অবাধে চলাচল করলেও পুলিশ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে, লাইসেন্স বিহীন এসব সিএনজি গাড়ি চলাচলের জন্য জেলার বিভিন্ন থানা পুলিশকে মাসোহারা দিতে হয়।

জানা গেছে, সিলেট সদর উপজেলায় কয়েকশত সিএনজি গাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে অল্প কয়েকটি গাড়ির বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। বাকী সিএনজি চলছে কোন কাগজ ছাড়াই। অনভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণবিহীন চালক দিয়ে এসব সিএনজি গাড়ি বিভিন্ন সড়কে অবাধে চলছে। ফলে ঘটছে মারাত্মক সব দুর্ঘটনা। সিএনজি গাড়ি দুর্ঘটনায় অনেকে পঙ্গু হয়ে আছে, অনেকে মৃত্যুশয্যার কাতরাচ্ছে। আবার অনেকের প্রাণহানি ঘটেছে। সিএনজি গাড়ির লাইসেন্স ও কাগজপত্র না থাকলে ও এগুলো অবাধে চলছে। মাঝে মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলেও অজ্ঞাত কারণে এসব অবৈধ গাড়ি পার পেয়ে যাচ্ছে।
শাহপরাণ (রঃ) থানা সড়কের কয়েকজন চালক নাম প্রাকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, অন-টেস্টে চলা প্রতিটি গাড়ীকেই থানা পুলিশের কাছে নির্দিষ্ট অংকের চাঁদা দিতে হয়। মাসিক হারে লাইনম্যানরা এসব চাঁদা তুলে থানা পুলিশের হাতে জমা দেয়। জানা গেছে, লাইসেন্সবিহীন প্রতিটি সিএনজি থানা পুলিশকে মাসিক ৫০০টাকা হারে ও ৩০০টাকা হারে দিতে হয়। মাসোহারার বিনিময়ে থানার লোকজন সিএনজি গাড়ির অগ্রভাগে গোলাকার সবুজ হলুদ, লাল বা রংয়ের স্টিকার লাগিয়ে দেয়। আর এটাই লাইসেন্স (মাংতি হিসাবে পরিচিত) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

তবে শাহপরাণ (রঃ) উপজেলা সিএনজি চালক সমিতির সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক জানিয়েছেন, সব গাড়ির কাগজপত্রের জন্য আবেদন করা হয়েছে। সরকার এখনও কাগজপত্র দিচ্ছে না।

এদিকে শাহপরাণ (রঃ) থানার অফিসার ইনাচর্জ (ওসি) আকতার হোসেন পুলিশের মাসোহারা আদায়ের কথা অস্বীকার করে বলেন, অবৈধ সিএনজিগুলোর বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *