প্রেমের ফাঁদ পেতে ধর্ষণ এবং হত্যা:বিশ্বনাথে কিশোরী হত্যার রহস্য উদঘাটন

নিজস্ব প্রতিবেদক:: শফিক মিয়া (৩২) ভয়ংকর এক খুনীর নাম। সে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও হত্যা করে বেড়ায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি মঙ্গলবার ভোরে টাঙ্গাইল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শফিক বিশ্বনাথের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত ওয়াব উল্লার ছেলে।

বুধবার দুপুরে সিলেটের পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান।

তিনি আরো জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথের রামপাশা ইউনিয়নের একি বাড়ির রাস্তার পাশে অজ্ঞাতনামা এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন নাম্বারের সূত্র ধরে এ হত্যা রহস্য উদঘাটন করা হয়।

প্রেমের অভিনয় করে টাঙ্গাইল থেকে এক রুমি আক্তার (১৬) নামের কিশোরীকে সিলেটের বিশ্বনাথে এনে হত্যা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরো বলেন, গ্রেপ্তার শফিক টাঙ্গাইলের নাছির গ্লাস ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। ওই ফ্যাক্টরি থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরআগে সে আরও ৪টি বিয়ে করেছে। বিশ্বনাথ থানায় দায়েরকৃত গণধর্ষণ মামলারও পলাতক আসামি শফিক।

গত ৯ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই জেলার মির্জাপুর থানার আতাউর রহমানের মেয়ে রুমি আক্তার। একই হাসপাতালে শফিকের শাশুড়িও চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই তাদের পরিচয় হয়। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের অভিনয় করে রুমিকে সিলেট নিয়ে আসে শফিক। এরপর তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। রুমিকে হত্যার দৃশ্য শফিকের এক ভাবি দেখে ফলেন বলেও জানান পুলিশ সুপার।

এঘটনায় শফিকসহ এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শফিক রুমিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, বৃহস্পতিবার শফিককে আদালতে তুলে রিমান্ড চাওয়া হবে।

বিশ্বনাথে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ঐ ঘটনার সাথেও শফিকের সর্ম্পক থাকতে পারে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো অজানা অনেক রহস্য বের হতে পারে বলে বলে পুলিশ ধারণা করছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *