মাদক বাধার জের হত্যার অভিযোগ  ৭ জনের বিরুদ্ধে  মামলা দায়ের

আজিজুল ইসলাম সজীব:: 

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ১নং বড় ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় নিকু দাস (১৫) নামে কিশোরকে হত্যার অভিযোগ এনে ২য় স্বামী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে নিহত কিশোরের পিতা।

গত সোমবার ২০ আগস্ট নিহত কিশোরের পিতা নিখিল দাস বাদী হয়ে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও কগনিজেন্স (০৫) আদালতে সুচন দাসকে প্রধান আসামী ও সীমা রানী দাসকে ২নং আসামী করে মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের হলেও প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করছে আসামীরা। মামলার বিবরণে জানা যায়, জগন্নাথপুর গ্রামের নিখিল দাস প্রায় ১৮ বছর পুর্বে একই উপজেলার বাউশী গ্রামের মৃত গির্জা তালুকদারের কন্যা সীমা রানী দাসকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। সংসার কিছুদিন সুখে শান্তিতে কাটলেও পরে তাদের দাম্পত্য জীবনে শুরু হয় কলহ। প্রায় ১০ বছর পূর্বে একই গ্রামের মৃত সুধাংশু দাসের পুত্র সুচন দাসের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পরে সীমা রানী দাস। পরে সীমা রানী দাস তার প্রথম স্বামীকে ছেড়ে সুচন দাসের সাথে পালিয়ে যায় এবং তাদের মধ্যে বিয়ে হয়। এ সময় নিখিল দাসের পুত্র নিকুকেও সে সাথে নিয়ে যায়। মাঝে মধ্যে নিকু তার পিতা নিখিল দাসের সাথে দেখা করতে চাইলে তার মা তাতে রাজি হত না। দেখা করতে গেলে তাকে মারপিট করা হত। এছাড়াও সীমা রানী দাসের ২য় স্বামী সুচন দাস এলাকায় একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে।

এ সুবাধে সে তার স্বামীর সাথে নিজেও মাদক বিক্রিতে জড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি নিকু দাস তার মা সীমা রানী দাস ও ২য় স্বামী সুচন দাসকে মাদক বিক্রি করতে বাঁধা দেয়। এতে সুচন দাস ও তার মা সীমা রানী দাস তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। গত ১৮ আগস্ট রাতে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তারা নিকু দাসকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তারা নিকুর লাশ একটি পিয়ারা গাছের ডালের সাথে ঝুলিয়ে রাখে এবং আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকায় চালিয়ে দেয়। এছাড়াও তড়িগড়ি করে রাতেই তার লাশ নিকুর বাবাকে না জানিয়েই দাহ করে। এ নিয়ে নিকুর পিতা নিখিল দাস অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তার পুত্রকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেন।

যা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনায় কিশোর নিকু দাসের পিতা নিখিল দাস বাদী হয়ে সুচন দাস (৪৯)কে প্রধান আসামী ও সীমা রানী দাস (৩০)কে ২নং আসামী করে একই গ্রামের মৃত নরেশ দাসের পুত্র ননী দাস (৫৭), মৃত পঞ্চরতœ দাসের পুত্র পংকজ দাস (৩২), মৃত মহারতœ দাসের পুত্র যুবরাজ দাস (৩৫), মৃত নরেশ দাসের পুত্র বজেস দাস (৩২) ও মৃত উমেশ চন্দ্র দাসের পুত্র নবরতœ দাস (৫৮)কে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, মামলার বাদী জানায়, মামলা দায়ের হলেও আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *