আজিজুল ইসলাম সজীব:: হবিগঞ্জে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড এ দাউদনগর (পূর্ব চরন-আহমদ) গ্রামের অবস্থিত ৩৬০ আওলিয়ার বংশধর ও হযরত শাহ্ জালাল-শাহ্ পরানের সফর সঙ্গী শাওয়াল পীর এবং বন্দিগি শাহ্ মাজারের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ওই পুকুরের থাকা প্রসিদ্ধ গায়েবী গজার মাছ’সহ বিভিন্ন ধরণের অসংখ্য মাছ মরে গেছে। ছাওয়ালপীর মাজার সংলগ্ন প্রায় পাঁচশত বছরের পুরোনো গায়েবী গজার মাছের পুকুরে (যা মাছেরঘাট নাম পরিচিতি) বিষ ঢেলে মাছ নিধন করা হয়েছে।
গতকাল ভোর সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা পুকুরে মাছ ভেসে উঠছে দেখে পুকুরের খাদেমকে জানায়। এর আগে দিবাগত রাতের যেকোনো সময় দুর্বৃত্তরা পুকুরটিতে বিষ ঢেলেছে। পরে তিনি এলাকার লোকজন নিয়ে সবার সহযোগিতায় পুকুর থেকে গায়েবী গজার মাছ , ছোট-বড় দেশীয় মাছ অসংখ্যক পরিমানে সকাল থেকে এখনও (রাত-১০.৩০) পর্যন্ত জাল দিয়ে তুলা হচ্ছেই মাছ পাওয়া যাচ্ছে । তবে এখন পর্যন্ত ৭টি গজার মাছ, নাইলটিকা, রোই, কাতলা, গাসক্রাপ, কালনা কারপুসহ আসংখ্যক মাছ মরা অবস্থা তুলা হচ্ছে।
খবর পেয়ে শায়েস্তাগজ্ঞ পৌরসভার মেয়র ছালেক মিয়া সকাল ১১ টার দিকে ঘটনাস্থলে যান। এতে পরে তিনি পানিতে বিষক্রিয়া কমানোর জন্য পানিতে ঔষধ ও চুন পানি পুকুরে ছিটিয়ে দেন এলাকার মানুষদের সাথে নিয়ে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর মো. মোহন মিয়া বলেন- যারা আল্লহকে ভয় করে না তারাই এমন কাজ করতে পারে। আমি অভাক হয়ে গেছি এমন দৃশ্য দেখে।
এখবর পেয়ে এলাকার আশপাশের গ্রামের মানুষ ও দুর-দুরন্ত থেকে ছাওয়াপীর মাজার ভক্ত মানুষ মাছ দেখার জন্য পুকুর পাড়ে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমায়েত হতে লাগে।
ছাওয়ালপীর মাজার ও গায়েবী গজার মাছের পুকুরের খাদেম সৈয়দ ফয়সল আহমেদ জানান- ভোরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুকুরে গিয়ে দেখেন মাছ মরে ভেসে উঠছে এবং পানিতে দুর্গন্ধ হচ্ছে । সকালে ভোর থেকেই সবাই মিলে ২ চটিয়া জাল, উরন্ত জাল, এবং যে যেভাবে পারছে মাছ ধরতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। সারাটা দিন ধরে এই কাজেই করছে এলাকা বাসী ।
মাছের মধ্যে গায়েবী গজার মাছ এখন বাঁচার চেষ্টা করা যাবে মনে করছে বাঁচবে মনে হচ্ছে সেই সব মাছ পাশের আরেকটি পুকুর মাজারের খাদিম সৈয়দ ফয়সল আহমেদ এর পুকুরে জাল দিয়ে তুলে তুলে খাদিম সাহেবের পুকুরে ফালানো হচ্ছে।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বেশ কয়েটি বড় বড় গজার মাছ ও দেশীয় বিভিন্ন জাতের ছোট বড় মাছ মরেছে। ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা রাতের আধারে বিষ ঢেলেছিল।