হবিগঞ্জে ঈদকে সামনে রেখে মসলার দাম বৃদ্ধি

আজিজুলইসলামসজীব::  হবিগঞ্জের বিভিন্ন দোকানে পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরম মসলার দাম নাগালের বাইরে। এর মধ্যে এলাচির দাম প্রতি কেজিতে আড়াইশ থেকে ৩শ টাকা বেড়েছে। অন্যান্য মসলার দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ২০/৩০ টাকা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন মসলার বাজারে আর দাম বাড়বে না।
বিভিন্ন জায়গাতে মসলার দোকানগুলোতে দেখা গেছে, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা নয়নাভিরাম সাজে মসলা সাজিয়ে রেখেছেন। পাইকারি দোকানগুলোতে প্যাকেটজাত মসলা বিক্রি করা হচ্ছে। আর খুচরা দোকানগুলোতে উন্মুক্ত অবস্থায় রেখেই মসলাগুলো বিক্রি করছেন। আবার অনেকে মৌসুমী মসলার ব্যবসায়ী হিসেবে বাইরে বসে মসলা বিক্রি করছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, লং, এলাচি, দারুচিনি, জিরা জাতীয় মসলাগুলো সাধারণত কোরবানির ঈদে বেশী বিক্রি হয়ে থাকে। কারণ ঈদুল আযহায় দেশে প্রচুর গরু কোরবানী হয়। যারা কোরবানী দেন তাদের কোরবানীর একটি অংশ গরীবদের মধ্যে বিলিয়ে দেন।
এ হিসেবে সবার বাড়িতে মাংস রান্না করতে হয়। এসব মাংস রান্না করতে গিয়ে মসলার প্রয়োজন হয়। মসলা বিক্রেতা জানান, ঈদুল আজহার সময় আমরা সারা বছর যে মসলা বিক্রি করি এর চেয়ে দ্বিগুন মসলা বিক্রি হয়। এ জন্য মসলার দাম কিছু বেড়ে যায়। তবে এবার মসলার আমদানি বেশি হওয়ার কারণে দাম তেমন একটা বেশি বৃদ্ধি পায়নি। প্রতি কেজিতে ২০/৩০টাকা বেড়েছে। একটু বেশি বেড়েছে এলাচির দাম। এলাচি প্রতি কেজি আগে পাইকারী ১২শ থেকে সাড়ে ১৩শ টাকায় বিক্রি হতো। এখন প্রতি কেজি ১হাজার ৫৭০ থেকে ১হাজার ৬শ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
তবে খোলা বাজারে প্রতি কেজি এলাচি ১হাজার ৭শ টাকা থেকে ১হাজার ৮শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও তেল, পেঁয়াজ, রসুন, গুড়া মরিচ, হলুদসহ অন্যান্য জিনিসের দাম স্বাভাবিকই রয়েছে। জনৈক ব্যবসায়ী বলেন, ঈদের আগে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি করেছি ৩৩০ টাকা কেজি, এখন প্রতি কেজি জিরা বিক্রি করছি সাড়ে ৪শ টাকা, এলাচি প্রতি কেজি ১হাজার সাড়ে ৭শ থেকে ১হাজার ৮শ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। লং প্রতি কেজি ৯শ টাকার স্থলে ১হাজার টাকা, দারুচিনি ২৮০ টাকার স্থলে সাড়ে ৩শ টাকা, কালো গোল মরিচ সাড়ে ৬শ টাকার স্থলে ৭শ থেকে ৮শ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও পেঁয়াজ, রসুন, গুড়া মরিচ, গুড়া হলুদসহ সকল প্রকার মসলার দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান তিনি। রাস্তায় খুচরা গরম মসলা বিক্রেতা জানান, এখনো পুরোদমে গরম মসলা বিক্রি শুরু হয়নি।
কয়েকদিন পর পুরোদমে বিক্রি শুরু হবে। এখন দূরের লোকজন বাজারে এসে মসলা ক্রয় করছেন। তবে নিম্ন আয়ের লোকজন সব মিলিয়ে ১শ থেকে ২শ টাকার গরম মসলা ক্রয় করছেন।
কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *