ভল্টের স্বর্ণে অনিয়ম: বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী-গভর্নর

অর্থনীতি ডেস্ক:: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে রাখা স্বর্ণের অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে বৈঠকে বসেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সচিবালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিদেশে অবস্থান করায় প্রতিমন্ত্রী এই বৈঠক ডেকেছেন।

মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংক দাবি করে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা দেওয়া স্বর্ণের বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের পরিদর্শন প্রতিবেদন বস্তুনিষ্ঠ ও সঠিক নয়। স্থানীয় স্বর্ণকারের থেকে ভাড়া করা মেশিন ব্যবহার করে স্বর্ণের পরিমাপ করা হয়েছে। স্বর্ণের পরিমাপ করার জন্য আনবিক শক্তি কমিশনে পাঠানোর প্রস্তাব করা হলে শুল্ক গোয়োন্দা তা না করেই প্রতিবেদন দিয়েছে।

শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের পরিদর্শনের আলোকে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের ফলে আকস্মিকভাবে ওই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এসএম রবিউল হাসান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে স্বর্ণ রেখে অন্য ধাতু হয়ে গেছে এ তথ্য মোটেও সঠিক নয়। যে চাক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ওই চাক্তি জমাকারী শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কর্মকর্তা একটি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন তিনি যেভাবেই রেখেছিলেন সেভাবেই পাওয়া গেছে। ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ ১৮ ক্যারেট হওয়ার বিষয়টিও সত্য নয়। স্বর্ণের মান নির্ণয়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত একজন স্বর্ণের দোকানদার কোষ্টিপাথর তথা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পরিমাপ করেন। ওই আলোকে এনবিআরকে অবহিত করা হয়। শুল্ক গোয়েন্দার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর ওই স্বর্ণকারের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

তিনি জানিয়েছেন, পরিমাপের সময় বিশুদ্ধতার ক্ষেত্রে ৪০ লেখা হয়েছে ৮০। আর শুল্ক গোয়েন্দা সেটাকে ৪৬ বলেছে। পরিমাপের ক্ষেত্রে যেখানে বাতাস থাকে না, আর যেখানে বাতাস থাকে তা একই রকম হয় না। সাধারণভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে আসার পার স্বর্ণের ওজন বেশি হয়। শুল্ক গোয়েন্দার হিসাবে যে ৯৬৩ কেজি পরিমাণ স্বর্ণ জমা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকে আসার পর তা আধা কেজি বেশি হয়েছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *