হৃদরোগে আক্রান্ত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বাসায় সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছে। ঢাকা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে হৃদরোগের চিকিৎসা শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর ছড়ারপারের বাসায় ফিরলে তাঁকে এক নজর দেখতে ও চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে অসংখ্য মানুষ তার ছড়ারপার বাসায় ভিড় জমান।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ জেলা ও মহানগর আওয়মীলীগ নেতৃবৃন্দ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ দিনমজুর, শ্রমিক, নিম্ন আয়ের মানুষ, শুভাকাংখী, শুভনুধ্যায়ী, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সিলেটের সর্বস্তরের মানুষ তাদের প্রিয় নেতা বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বাসায় ছুঁটে যান। তাঁরা কামরানের চিকিৎসার খোজ খবর নেন ও আশু রোগ মুক্তির জন্য মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। বিশেষ করে বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসার ইমাম, খতিব অধ্যক্ষ ছাত্র-শিক্ষক, আলেম-ওলামাদের সরব উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্যণীয়। দর্শনার্থীদের সাক্ষাতের ব্যাপারে চিকিৎসকের বিধিনিষেধ থাকলেও অগনিত মানুষের ভালবাসা ও আন্তরিকতায় বিমুগ্ধ হয়ে যান সাবেক মেয়র কামরান। মানুষের অকৃত্রিম ভালবাসা ও উষ্ণপরশে অসুস্থ সাবেক মেয়র কামরান যেন সাহসী হয়ে উঠেন। দুদিন আগেও তিনি যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তা যেন বুঝে ওঠা যাচ্ছিল না। মানুষের অকৃত্রিম ভালবাসা ও স্নেহের পরশে যেন নির্বাক হয়ে যাচ্ছিলেন আবেগাপ্লুুত কামরান।
কামরান তনয় ডা. আরমান আমহদ শিপলু জানান, তার পিতা ঢাকা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে চার দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর হার্টে তিনটি রিং স্থাপন করা হয়েছে। প্রফেসর ফজিলাতুন্নেসা মালিক তার পিতার হার্টে সফলভাবে রিং স্থাপন করেন। তিনি হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার আব্দুল মালিক সহ হাসপাতালের সকল পরিচালক, চিকিৎসক ও কলা কুশলীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন তাঁর পিতার চিকিৎসা সেবায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে ভূমিকা রেখেছেন সে জন্য তাদের পরিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি তার পিতার দ্রুত রোগ মুক্তির জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।