জগন্নাথপুরে মেলার নামে অশ্লীল নিত্য ও জুয়ার আসর

নিউজ ডেক্স:: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কলকলিয়া ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের উত্তরের মাঠে বসন্ত মেলার নামে অশ্লীল যাত্রা গান ও জুয়ার আসর বন্ধের দাবিতে কলকলিয়া ইউনিয়ন অফিসের সামনে গতকাল বৃহ:বার সকাল ১১ ঘটিকায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

কলকলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হাসিমের সভাপতিত্বে ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুমের পরিচালনায়। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সাদিপুর গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি সাবেক মেম্বার কুতুব উদ্দিন, মো. লুৎফুর রহমান,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক,আনিসুর রহমান তুতি। কাদিপুর গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি মোহাম্মদ আলী মোজাহীদ, সাবেক মেম্বার জিলু মিয়া।

জগদীশপুর গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি স্কুল শিক্ষক মাওলানা আব্দুল গফফার, জগদীশপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা খন্দকার রুহুল আমিন। শ্রীধরপাশা গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি মাওলানা সিজিল ইসলাম,মাওলানা ডা: শিবির আহমদ, ডা: হাবিবুর রহমান,মাওলানা জোবায়েল আহমদ। খামারখাল গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি মাওলানা আব্দুল হামিদ,আবুল বশর।

তেলীকোনা গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি মাওলানা জালাল উদ্দিন,জামাল মিয়া।হলদারকান্দি গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি ডা: জিল্লুর রহমান, সার্ভেয়ার আব্দুল কাদির।বুড়মপুর গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি আব্দুল খালিক। শক্তিরগাঁও গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি মাওলানা তোফাজ্জাল হোসেন,মমতাজুল হাসান। বালিকান্দি গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি জহিরুল ইসলাম লেবু,মাওলানা কাজী জালাল উদ্দিন,সাদিকুর রহমান নানু।পাড়ারগাঁও গ্রামের যুবলীগ নেতা আলাল হোসেন রানা,ফয়ছল আহমদ প্রমুখ।

বক্তাগন বলেন, সাদিপুর গ্রামের কিছু সংখ্যাক কতিপয় লোকজন বসন্ত মেলার নামে গত ৮ ফেব্রুয়ারী যাত্রাগান, মদ, জুয়া ও অসামাজিক কার্যকলাপের আয়োজন করেছিল এলাকাবাসী প্রতিরোধের মুখে পিছু হটে মেলার আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়ে আবার নতুন করে মেলা আয়োজন করে। এ মেলার নামে অশ্লীল যাত্রা গান ও জুয়ার আসরে বিপথগামী হবে যুব,ছাত্র ও তরুণ সমাজ। বাড়বে অপরাধ প্রবণতা।

বিগত দিনে জগন্নাথপুর উপজেলার সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হক সহ প্রায় ৩শতাধিক গ্রামবাসীর স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার, জগন্নাথপুর ও দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সহ জনপ্রতিনিধির নিকট দাখিল করা হয়েছিল।

স্মারকলিপিতে এলাকার শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে যাত্রার নামে অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধ করতে দাবী জানানো হয়েছিল। কিন্তু এত কিছু করার পরও কতিপয় লোকজন আজ রাত থেকে মেলা শুরু করবে। বক্তাগন আরও বলেন আগামী কাল জুম্মার নামাজের আগে যদি মেলার স্টেইজ ভেঙ্গে দেওয়া না হয় তাহলে ধর্মপ্রাণ জনগনকে সাথে নিয়ে মেলা ভেঙ্গে দেওয়া হবে। কোন অবস্থায় মেলা চলতে দেয়া হবে না।

এদিকে মেলা আয়োজনের পর থেকে বড় ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী দাবি করে বলেন, এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এখানে মেলার নামে অসামাজিকতা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *