‘ঘরে ঘরে কল্যাণ, থাকুক বহমান’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে কোরবানির সামাজিকায়ন -২০২৫ উপলক্ষে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সিলেট সেন্টার’র উদ্যোগে ১১৯০ পরিবারের মাঝে, ১৪২০ কেজি কোরবানির মাংস বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে কোরবানির সামাজিকায়ন পাইওনিয়ারের ভূমিকা পালন করছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। ২০০১ সালে বান্দরবানের লামায় দুটো পশু কোরবানি দিয়ে যে কার্যক্রমের শুরু হয়। ধাপে ধাপে বেড়ে ২০১০ সালে এসে ১৮৬টি পশু কোরবানী দিয়ে মাংস বিতরণ করা। ১০ বছরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন লামায় মোট ৬০০টি পশু কোরবানি করে, যা থেকে পাওয়া ৬০ হাজার কেজি মাংস ৩৫ হাজার পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়। ২০১০ সালের পর বান্দরবানের লামায় মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটে। পূর্বের অধিকাংশ মানুষ যারা মাংস নিতে আসতেন তাদের বড় অংশই এখন নিজেরাই কোরবানি করার সক্ষমতা অর্জন করেছেন। এলাকাভিত্তিক সফলতার পর গত বছর ২০২৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন দেশ জুড়ে এ কার্যক্রম শুরু করে। গত বছর তারা ২১৫টি পশু কোরবানি করে ১৮,৯৬৭ কেজি মাংস ১০ হাজার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। ‘ঘরে ঘরে কল্যাণ, থাকুক বহমান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ’কোরবানির সামাজিকায়ন ২০২৫ এ বছরও দেশ জুড়ে কোরবানির মাংস উপহার হিসেবে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। কোরবানির সামাজিকায়ন দেশের সবার মাঝে ছড়িয়ে যাক এটাই প্রত্যাশা কোয়ান্টামের। এবার সিলেট সেন্টার’র উদ্যোগে ১২ টি গরু, ১৪ টি খাসি কোরবানি দেয়া হয়। যার মধ্যে গরুর মাংস ছিল ১২৬৯ কেজি, খাসি ১৫১ কেজি। সব মিলিয়ে ১৪২০ কেজি মাংস, ১১৯০ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। সিলেট নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে কোরবানী ও মাংস বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সিলেট সেন্টারের অর্গানিয়ার-ইনচার্জ আহমেদ শরীফ, সিলেট সেন্টারের মোমেন্টিয়ার মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক মো: সীতাব আলী, বাগবাড়ি-জিন্দাবাজার শাখার মোমেন্টিয়ার ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান খান তপন, আম্বরখানা শাখার মোমেন্টিয়ার এবং লতিফা-শফি মহিলা ডিগ্রী কলেজের রাষ্ট্রবিভাগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এসোসিয়েট প্রফেসর শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, বাংলাদেশ ব্যাংক উপশহর শাখার আর্ডেন্টিয়ার ও সিলেটের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর আবু তৈয়ব মো: আব্দুল্লাহ প্রমুখ। – বিজ্ঞপ্তি
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সিলেট সেন্টার’র ১১৯০ পরিবারের মাঝে ১৪২০ কেজি মাংস বিতরণ

কমেন্ট