অবৈধভাবে মাটি কাটার কারণে দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক : ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করা হয় ইট ভাটায়। একই জমিতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হয়।

তিন ফসলি জমি এখন নদীতে পরিণত হয়েছে। মাটি খেকো, ভূমিদস্যরা প্রভাবশালী হওয়ায় মুখ খুলতে সাহস পায় না কেউ। তাদের বিরুদ্ধে কথা বল্লে মামলা, হামলা আর নির্যাতনের শিকার হতে হয় কৃষকদের।

 

মুন্সীগঞ্জ জেলা সিরাজদিখান উপজেলায় আওয়ামিলীগ দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ তিন ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছে ইট ভাটায়।
অবৈধ মুনাফার জন্য এসব কাজে সহযোগিতা করছে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা।
অবৈধ মাটি কাঁটার বিরুদ্ধে বহুবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী ও কৃষকরা। প্রশাসন নামমাত্র অভিযান পরিচালনা করে কিছু জেল জরিমানা করলেও বন্ধ হয় নাই এ সমস্ত কর্মযজ্ঞ ।
এতে কমে গেছে তিন ফসলি জমি নিঃস্ব হয়েছে বহু কৃষক। ভূমিদস্যুরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পান না কেউ। সাহস করে যাঁরা বাধা দিয়েছে তারা নির্যাতনের শিকার,মিথ্যা মামলা, হামলাসহ হুমকির শিকার হয়েছে বহু কৃষক।
নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সরকারি পাকা সড়ক। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্থানীয়রা।
স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। ধুলা আর বালুতে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুসহ বৃদ্ধরা।
বর্তমানে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে দিনের সাথে পাল্লা দিয়ে রাতের আঁধারে ও অবৈধ ভাবে চলছে মাটি কাঁটা। মাটিকাটা বন্ধ করতে সিরাজদিখানের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার কর্মীরা বিক্ষোভ মানববন্ধন ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন তার পরে-ও বন্ধ হচ্ছে না। তাদের দাবি প্রশাসন এদের সাথে জড়িত এবং সম্পৃক্ত রয়েছে দ্রুত মাটি কাঁটা বন্ধ না হলে কঠিন কর্মসূচির হুশিয়ার দিয়েছেন এলাকাবাসী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে শেখ মোঃ মিয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম,এ মান্নান বলেন মাটি কাটার কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম হয় আর প্রতিনিয়ত প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার এ মাটি কাটার বন্ধের দাবী জানান তিনি। এ বিষয়ে রামকৃষ্ণদী সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন মাটি কাঁটার কারণে রাস্তায় ধুলাবালির সৃষ্টি হয় এ ধুলাবালির কারণে কোমলমতি শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম থাকে অবৈধ মাটি কাঁটা বন্ধের দাবী জানান এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সিরাজদিখান উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাদশা মিয়া বলেন অবৈধভাবে মাটি কাটার কারণে দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ ও স্কুল,মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন এ মাটিকাটা বন্ধ না করলে এলাকার অনেক ক্ষতি হবে। অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিরাজদিখান উপজেলা সহকারী কমিশনর (ভূমি) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বাবু।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *