বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেছেন, আওয়ামীলীগ বিগত ১৫ বছরে দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও ভোটাধিকারকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। মানবিক মূল্যবোধ বলতে কিছু ছিলনা। দীর্ঘ সময় দেশে রেজিম চালানোর ফলে তাদের নৈতিক মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলেছিল। সর্বক্ষেত্রে নির্লজ্জ দলীয়করণ, অর্থ পাচার থেকে শুরু করে দেশে গুম-খুন ও গণধর্ষণ ছিল অপেন সিক্রেট। জনরোষের মূখে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েও তারা সংশোধিত হয়নি। সকাল বেলায়ই গণমাধ্যমে দেখলাম সিলেট আওয়ামীগের তিনজন দায়িত্বশীল নেতা ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখানে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। দেশকে লুটেপুটে খেয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েও তারা সংশোধন হয়নি, সেখানে গিয়েও ধর্ষণের মতো জগন্য অপরাধ করেছে। আওয়ামীলীগ কখনো সংশোধন হবে না। বিএনপির নেতৃবৃন্দ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই চলমান রয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে মানবিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখে অগ্রগতির বাংলাদেশ গড়তে আমরা দৃঢ়ভাবে সংকল্পবদ্ধ।
সোমবার বিকেলে তাহিরপুর উপজেলা সদরে৷ তাহিরপুর উপজেলা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের সভাপতিত্বে, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট নুরুল হক নুরুর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী।
সভাপতির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন বলেন, দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হলেও এখনো আমরা ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাইনি। আমরা আশা করি অন্তর্বর্তীকালীন সকলার দ্রুত সময়ের প্রয়োজনীয় নির্বাচনী সংষ্কার শেষে অতিশীঘ্রই দেশবাসীকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দেবেন। এজন্য দলের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, দেশের সর্বস্তরের মানুষ বিএনপির নেতৃত্বের আস্তাশীল। তাই আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী করতে এখন থেকেই দলের সকল নেতাকর্মীদের মাঠে কাজ করতে হবে।
কর্মীসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য নাদের আহমদ, আব্দুল মোত্তালেব খাঁন, আনসার উদ্দিন, রেজাউল হক, আনিসুল হক, আবুল কালাম আজাদ, মোনাজ্জির হোসেন সুজন, নুর আলী, সালমা আক্তার, ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দী, জুনাব আলী, রাখার উদ্দিন, বীরমুক্তিদ্ধ হারুন রশিদ, মেহেদী হাসান উজ্জল, লৎফর রহমান, বাবু ভাস্কর রায় একেএম নাসের উদ্দিন, এমদাদুল হক, মো: মোশাহীদ আলম তালুকদের ডাঃ শামছুদ্দিন আহমেদ, মো: গোলাম নুর, শামীম আহমেদ, মো: ইছাক মিয়া, মো: আশরাফুল আলম, মো: নজরুল ইসলাম শাহ, মো: রহুল আমিন, মো: রাখাব উদ্দিন, মো: চাঁন মিয়া, মো: এমরান হুসেন, মো: বাদল মিয়া, মো: শাখাওয়াত হোসেন, মো: জমিরুল হক।