সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সত্যিকারের মিথ্যার সাম্রাজ্য’ বলে অভিহিত করেছে চীন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক প্রতিবেদনের সমালোচনা করে শনিবার এমন মন্তব্য করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি চীন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। সেই প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র বলছে— তথ্য নিয়ে কারসাজির অংশ হিসেবে কোটি কোটি ডলার ঢালছে চীন। সেন্সরশিপ, ডেটা সংগ্রহ ও গোপনে বিভিন্ন বিদেশি সংবাদমাধ্যম কেনার মাধ্যমে বিশ্ব গণমাধ্যমে কারসাজি করছে তারা।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নজিরবিহীন অর্থ ঢালা সত্ত্বেও বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে তাদের এই প্রচারাভিযান। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে— স্থানীয় গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের বাধা।
তবে এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে সত্যকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এটি মিথ্যা তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের যেসব সংস্থা এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে, সেগুলো ভুল তথ্যের উৎস। বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রই সত্যিকারের মিথ্যার সাম্রাজ্য।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার সরকারনিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার বৈশ্বিক পদচিহ্ন বাড়ানোর জন্য চীনের প্রচেষ্টা নিয়ে বিতর্কের মধ্যে মার্কিন প্রতিবেদনটি এসেছে। বেইজিং চীনের নেতিবাচক চিত্রগুলোকে মোকাবিলা করতে চাইছে, যা বিশ্ব মিডিয়া দ্বারা প্রচারিত বলে মনে হয়।
এর আগে গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে পশ্চিমা বিশ্বকে ‘মিথ্যার সাম্রাজ্য’ বলেছিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা নানা দ্বন্দ্বকে উসকে দিচ্ছে। এটি কৃত্রিমভাবে মানবতাকে বিভক্ত করছে। হিংসা বাড়াচ্ছে। আর এর ফলে সার্বিক অর্জনগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স