মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট চীন না ভারতপন্থি?

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক: মালদ্বীপে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বিরোধী দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের (পিএনএস) মোহাম্মদ মুইজ্জু। শনিবার দ্বিতীয় দফার ভোটে তিনি জয়ী হন।

এদিকে দেশটির নির্বাচন ঘিরে চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র আগ্রহ ছিল। চীন–ভারতের শক্তিমত্তার খেলার ছায়ায় অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মোহাম্মদ সলিহ (৬১) জয়ী হলে দ্বীপ দেশটিতে নয়াদিল্লির প্রভাব বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

সলিহর সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক ভালো। অপরদিকে মোহাম্মদ মুইজ্জু (৪৫) চীনপন্থি হিসেবে পরিচিত।

মালদ্বীপ ভারত মহাসাগরের মাঝখানে একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছে। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্য দিয়ে যে জাহাজ চলাচলের রুট বা শিপিং লাইনগুলো আছে, তার মাঝামাঝি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ।

তাই দেশটিতে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে ভারত ও চীন প্রবল চেষ্টা চালাচ্ছে। মুইজ্জুর দল চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড অবকাঠামো কর্মসূচি থেকে বড় ধরনের আর্থিক সুবিধা নিতে আগ্রহী।

সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনও ছিলেন চীনঘেঁষা। তিনি মালদ্বীপে নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ভারতকে প্রত্যাখ্যান করে চীনের কাছ থেকে প্রচুর ঋণ নিয়েছিলেন।
২০১৮ সালে ইয়ামিনের কর্তৃত্ববাদী শাসনকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসেন ৬১ বছর বয়সি সলিহ। অভিযোগ রয়েছে— ইয়ামিন দেশটিকে চীনা ঋণের ফাঁদে ঠেলে দিয়েছেন। ইয়ামিনের চীনঘেঁষা নীতি নয়াদিল্লিকে শঙ্কিত করে তুলেছিল।

ভারত মহাসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়ে ভারত যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশগুলোর কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।

মোহাম্মদ মুইজ্জু এর আগে জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচিত হলে ইয়ামিনকে মুক্ত করবেন। দুর্নীতির দায়ে তিনি ১১ বছরের দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। ইয়ামিনের জায়গায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মুইজ্জু। এ থেকেই ধারণা করা হয় মুইজ্জু চীনপন্থি।

শনিবার রাতে ভোটের ফল গণনা শেষে এক্সে (সাবেক টুইটার) পরাজয় স্বীকার করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। একই সঙ্গে মোহামেদ মুইজ্জুকে অভিবাদন জানিয়েছেন তিনি।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *