জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনাই একমাত্র শ্রেষ্ঠ বিকল্প: পরিকল্পনামন্ত্রী

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আজ নেই। কিন্তু তার কন্যা শেখ হাসিনাই আজ একমাত্র শ্রেষ্ঠ বিকল্প। তার হাতকেই শক্তিশালী করতে হবে। দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে হলে স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হবে।
১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সন্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ও ছোঁয়া এই পরিকল্পনা কমিশনে আছে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের বাঙালির সঙ্গে থাকতে হবে। দেশের সঙ্গে থাকতে হবে। এতে আনন্দ আছে, তৃপ্তি আছে।

পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মহিউদ্দিন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ এমদান উল্লাহ মিয়ান, আব্দুল বাকী, একেএম ফজলুল হক, মোছাম্মৎ নাসিমা বেগম, কাউসার আহমেদ এবং বিআইডএসর মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, জীবনে  বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দুবার আমার দেখা ও কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। এর আগে আন্দোলন চলাকালীন বিভিন্ন সময় দূর থেকে তাকে দেখেছি। কিন্তু সামনাসামনি দেখার পর তার কথা ও আচরণ সারাজীবন আমি ভুলতে পারবো না। তিনি যেভাবে খোলামেলা এবং আবরণ মুক্তভাবে কথা বলেছিলেন তা আজও আমার কাছে বাজে। তিনি আমার হৃদয়ে দাগ কেটেছিলেন। ছাত্র অবস্থায় ঢাকা তার বিভিন্ন সভায় আমি যেতাম বক্তব্য শুনতে। ছোট থেকেই আমি ছিলাম বঙ্গবন্ধুপাগল মানুষ। তবে ব্যক্তিগত লজ্জার বিষয় হলো আমি অস্ত্র হাতে সরাসরি যুদ্ধ করতে পারিনি। আমি ছিলাম নিরীহ ও ভীরু টাইপের লোক। অত সাহসী ছিলাম না।

বক্তারা বলেন, বাঙালি হিসেবে আমাদের লজ্জা। আমরাই আমাদের জাতির পিতাকে হত্যা করেছি। তার পুরো পরিবারকে হত্যা করেছি। বঙ্গবন্ধু মাত্র ৫২ বছর বয়সের এই জীবনে জেল খানায়ই কাটিয়েছেন ৩ হাজার ৩৮০ দিন। তিনি এই দেশ, জাতি ও মানুষের জন্য পুরো জীবনকেই উৎসর্গ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। এ ব্ষিয়ে কোন সন্দেহ নেই। ১৫ আগষ্টের খুনিদের বিচার হচ্ছে। এখনও যারা বাইরে আছে তাদের এনে দ্রুত বিচার করা উচিত।

আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন নেছা মজিবের ওপর নির্মিত বঙ্গমাতা নামের শর্ট ফিল্ম পরিবেশ ও দোয়া ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি দুপুরে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে গিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *