সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক: তুরস্কের পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর বাকি মাত্র ৪ দিন। আসছে ১৪ মে’র নির্বাচনে এরদোগানের দুই দশকের ক্ষমতার অবসান হওয়ার অনেকটাই সম্ভাবনা রয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
একদিকে ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকট, অন্যদিকে ভূমিকম্পে ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু ও লাখো মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এরদোগানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়ছেন সিএইচপি দলের কেমাল কিরিচদারোল্গু। ক্ষমতায় এলে এরদোগানের নীতিতে অনেক পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন তিনি।
কে হবেন বিজয়ী?
আসন্ন এ নির্বাচনে কে বিজয়ী হবেন তা এখনো স্পষ্ট বলা না গেলেও, নির্বাচনপূর্ববর্তী জরিপগুলোতে দেখা গেছে- এরদোগানের চেয়ে সামান্য জনসমর্থনের ব্যবধানে পিছিয়ে আছেন কিরিচদারোগ্লু।
কোন কোন বিশ্লেষক মনে করেন, যদি কোনোক্রমে কিরিচদারোগ্লু বিজয়ী হন, তবে পরাজয় সহজে মেনে নেবেন না এরদোগান।
তুরস্কের বাইরে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচন?
মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে সামরিক উপস্থিতি রয়েছে তুরস্কের। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনতে পারেন কিরিচদারোগ্লু, তাই নেতার পরিবর্তনের সঙ্গে নীতিরও পরিবর্তন হতে পারে। নেতার পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে, তাই এ নির্বাচন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
রাশিয়ার অন্যতম ঘনিষ্ঠ দেশ তুরস্ক। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে এরদোগানের সঙ্গে পুতিনেরও বেশ ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছে। নির্বাচনে হেরে গেলে পুতিনের সঙ্গে কিরিচদারোগ্লু প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক বর্তমান সময়ের মতো হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধেও বেশ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে তুরস্ক। দুই পক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টাসহ কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য চুক্তি করে বিশ্ব দরবারে সমাদৃত হয়েছেন তিনি। নির্বাচনে এরদোগান হারলে ইউক্রেন-রাশিয়ার উত্তেজনা প্রশমনে তুরস্ক কী ভূমিকা পালন করবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।