সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে দেশটির বিভিন্ন সেনানিবাসে হামলা চালিয়েছে তার সমর্থকরা। এমন ঘটনাকে ইতিহাসের একটি ‘কালো অধ্যায়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
বুধবার পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী গণসংযোগ পরিদফতর আইএসপিআরের এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, পরিকল্পিতভাবে সামরিক স্থাপনাগুলোয় আক্রমণ করা হয়েছে।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, কাল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে পিটিআই চেয়ারম্যানকে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) গ্রেফতার করেছে। এ গ্রেফতারের পরপরই পরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনীর সম্পত্তি ও স্থাপনায় হামলা চালানো হয় এবং সেনাবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়।
৯ মে দিনটি একটি কালো অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘৭৫ বছরে দেশের চিরশত্রু রা যা করতে পারেনি তা ক্ষমতার লালসায় রাজনৈতিক চাদর পরিহিত একটি গোষ্ঠী করেছে’।
আইএসপিআর জানিয়েছে, সেনারা অত্যন্ত ধৈর্য, সহনশীলতা দেখিয়েছে এবং তাদের নিজস্ব খ্যাতির পরোয়া না করে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে অত্যন্ত ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে কাজ করেছে।
এদিকে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। শুনানি শেষে বিচারক ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ মামলার শুনানি হয়েছে ইসলামাবাদ পুলিশ লাইনে গঠিত বিশেষ আদালতে। গত সোমবার এ স্থানকে আদালতের মর্যাদা দেওয়া হয়। ইমরান খানের মামলার শুনানিতে বিচারক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ বশির।
শুনানির শুরুতে এনএবি ইমরানের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করে। তবে এর বিরোধিতা করেন পিটিআই প্রধানের আইনজীবী খাজা হারিস।
আইনজীবী বলেন, ‘আল-কাদির ট্রাস্ট মামলাটি ব্যুরোর পরিধির মধ্যে পড়েনি। এমনকি এনএবি এখনো তদন্ত প্রতিবেদন শেয়ার করেনি।’