এবার খাদিমনগরের ৯নং ওয়ার্ডে পূণঃনির্বাচনের দাবিতে স্মারকলিপি

শনিবার সিলেট সদরের খাদিমনগরের তিনটি ওয়ার্ডে পূণঃনির্বাচনের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন কয়েকজন প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। এবার এই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে পূণঃনির্বাচনের দাবিতে তিনজন সদস্য পদপ্রার্থী সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
আজ রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরের দিকে এই ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী সোহাগ ছত্রী, সাহিদুল ইসলাম সোহেল ও বিলাস ব্যানার্জি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এই প্রার্থীরা ভোটের দিন গত ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার খাদিমনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে অন্তত ১১টি অনিয়মের কথা তাদের স্মারকলিপিতে অভিযোগ আকারে তুলে ধরেন।
সেগুলো হচ্ছে, এ ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রের ৭, ৮ ও ৯নং বুথে মহিলা ভোটারদের প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নৌকার পরিবর্তে চশমা এবং সাধারণ সদস্য পদে ঘুড়ি প্রতিকে ভোট দিতে সরাসরি প্রভাব খাটিয়েছেন। প্রথম ইভিএম বুথ বন্ধ রেখে সাধারণ ভোটারদের বিভ্রান্ত করা, ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর ভোটাররা বুথে প্রবেশের পরপরই তাদের ভোট অন্যত্র বলে সরিয়ে দেয়া, বুথে দায়িত্বরত কর্মকর্তা আমিনুর রহমান আলআমিন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী চশমা প্রতিকের দিলোয়ার হোসেনের নিকটাত্মীয়। তিনি ভোট শেষ হওয়ার আগেই ‘ভোট দেয়া হয়ে গেছে’ বলে সাধারণ ভোটারদের ফিরিয়ে দিয়ে পরে অন্যান্য অফিসারদের নিয়ে ভোট দিয়েছেন। ৩/৪টি বুথ থেকে একাধিকার অ্যাজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। ইভিএম মেশিন কাজ করছেনা, মেশিন স্লো বা নষ্ট- ইত্যাদি অজুহাত দেখিয়ে কর্মকর্তারা নিজেরাই তাদের পছন্দের প্রার্থীর প্রতিকে ভোট দিয়েছেন। বিকেল ৪টার দিকে ‘সময় শেষ’- এমন কথা বলে ভোটারদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। সাদা কাগজে অ্যাজেন্টদের স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তারা স্বাক্ষর না দেয়ায় তাদের বারান্দায় বের করে দেয়া হয়। অনেক পরে রাত ৮টায় ফলাফল ঘোষণা করা হয় এবং অ্যাজেন্টদের এই বলে হুমকি দেয়া হয়েছে যে, ‘আপনারা স্বাক্ষর না দিলেও আমরা ফল ঘোষণা করব, এটা উপর মহলের নির্দেশ’। বুথগুলোতে রেজাল্ট প্রিন্ট না করেই অ্যাজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। এই কেন্দ্রের ৯ ও ১০নং বুথে সকাল থেকেই কোন অ্যাজেন্ট ঢুকতে দেয়া হয়নি। ঘুড়ি প্রতিকের প্রার্থী বারবার বুথে প্রবেশ করে পোলিং অ্যাজেন্টসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে কানাকানি করেছেন। এ ব্যাপারে বারবার আপত্তি জানালেও প্রিজাইডিং অফিসার কোন ব্যবস্থাই নেননি।
এসব কারণে এই তিন প্রার্থী সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে খাদিমনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে পূণঃনির্বাচন দিয়ে জনগনকে তাদের রায় প্রদানের সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *