বিশ্ব ইজতেমা ময়দান বুঝিয়ে দিলেন সাদ অনুসারীরা

নিউজ ডেস্ক:: বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা শেষে প্রশাসনকে ময়দান বুঝিয়ে দিয়েছেন মাওলানা সাদ অনুসারীরা।

বুধবার বিকালে ময়দানের উত্তর-পশ্চিম কোণে বিদেশি নিবাসে স্থাপিত গাজীপুর জেলা প্রশাসনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কেন্দ্রে জেলা প্রশাসকের কাছে ময়দানের মাইক, লাইট, শামিয়ানার চটসহ যাবতীয় মালামাল বুঝিয়ে দেন তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মামুনুল করিম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সচিব আব্দুল হান্নান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) মাহবুব-উজ-জামান, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) টঙ্গী জোন হাফিজুল ইসলাম, সহকারি পুলিশ কমিশনার (টঙ্গী জোন) মেহেদি হাসান দিপু, টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ,আলম।

মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের শীর্ষ মুরব্বি প্রকৌশলী শাহ মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ, ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, ডা. রেজাউল করিম, প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ, হাজী মনির হোসেন, প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ, মোহাম্মদ মিল্লাত হোসেন প্রমুখ।

এ সময় গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, কোনো প্রকার সমস্যা ছাড়াই এবারের দু’পর্বের ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা শেষ হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমা ময়দান সরকারের সম্পদ। বুধবার ময়দান আমরা বুঝে পেয়েছি।  মাঠ এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।  সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ময়দানের পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩-১৫ জানুয়ারি আলমি শূরার (মাওলানা জোবায়েরপন্থি) প্রথমপর্ব শেষে চার দিন বিরতি দিয়ে ২০-২২ জানুয়ারি মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের দ্বিতীয় পর্ব ইজতেমা পালনের মাধ্যমে শেষ হয়েছে এবারের ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা।

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয়পর্বে এবার ৬৫টি দেশ থেকে নয় হাজারের বেশি বিদেশি নাগরিক অংশ নিয়েছেন। আর ইজতেমার প্রথমপর্বে ৬৬ দেশের ৬ হাজার ৯৩১ জন মেহমান অংশ নিয়েছিলেন।

ভারতীয় উপমহাদেশে সুন্নি মুসলমানদের বৃহত্তম সংগঠন তাবলিগ জামাতের মধ্যে প্রথম দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ পায় ২০১৭ সালের নভেম্বরে।

এরপর করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দুই বছর বিরতির পর বিশ্ব ইজতেমা আবারো শুরু হলেও তাবলিগ জামাতের মধ্যে বিভক্তি কাটেনি।

এখন তাবলিগ জামাতের দুটি গ্রুপ আলাদাভাবে টঙ্গীর তুরাগ নদীর পাড়ে বিশ্ব ইজতেমার পৃথক আয়োজন করে, যার প্রথম পর্বটি হয়েছে ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি। আর দ্বিতীয় পর্বটি হয়েছে ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *