কামাল হত্যার নেপথ্যে ব্যবসায়িক বিরোধ!

নিউজ ডেস্ক::  সিলেটে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল হত্যায় বিএনপির স্থানীয় এক নেতা জড়িত বলেও ধারণা পুলিশের। ওই নেতার সঙ্গে ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের। এ ঘটনায় এরই মধ্যে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছাত্রদলের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে।

নগরীর আম্বরখানা বড়বাজার এলাকায় রোববার রাত ৯টার দিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় কামালকে। আ ফ ম কামাল ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক। তার বাড়ি নগরীর সুবিদবাজার এলাকায়।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘নিহত কামালের ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা ছিল

ব্যবসা নিয়ে নগরীর কয়েকজনের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে গত ১৫ অক্টোবর নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার আল মারজান শপিং সেন্টারের সামনে দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।

‘হাতাহাতির পরদিন কামালসহ কয়েকজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন আজিজুর রহমান সম্রাট নামের এক ব্যক্তি। নগরীর বড়বাজার এলাকার বাসিন্দা এই সম্রাট। আজকের হত্যাকাণ্ড ওই এলাকাতেই ঘটেছে।

আমরা ধারণা করছি, ব্যবসা সংক্রান্ত পূর্ববিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।’ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘হত্যাকারী যেই হোক, রাতের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার না করা হলে কাল (সোমবার) সকালে আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।’

তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিকভাবে কাউকে যেন হয়রানি করা না হয় এবং তাদের দলের নেতা-কর্মীদের যেন দমন-পীড়ন করা না হয়।’

বিমানবন্দর থানার ওসি মাইনুল জাকির বলেন, বড়বাজার এলাকায় নিজের প্রাইভেটকারে বসা ছিলেন কামাল। এ সময় মোটরসাইকেলে আসা দুই ব্যক্তি তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এমএজি ওসমানী মেডিক্যালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। মরদেহ ওসমানী মেডিক্যালে রাখা হয়েছে জানিয়ে।

এ বিষয়ে ওসি বলেন, ‘আমরা অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রাজু নামের এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *