চট্টগ্রাম থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়া কনটেইনারের ভেতর লাশ

নিউজ ডেস্ক:: চট্টগ্রাম থেকে মালয়েশিয়ার পেনাং বন্দরে যাওয়া একটি খালি কনটেইনারের ভেতরে এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অনুসন্ধান শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

দক্ষিণ কোরিয়ার সিনোকের শিপিং লাইন্স পরিচলিত ‘এমভি সোয়াসদি আটলান্টিক’ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে ওই খালি কনটেইনার নিয়ে গত ১০ অক্টোবর মালয়েশিয়ার পেনাং বন্দরে নোঙর করেছিল। সেখানেই নিরাপত্তাকর্মীরা কনটেইনারের ভেতর লাশটি পান।

৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের খালি ওই কনটেইনারটি জাহাজে তোলার জন্য গত ৪ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয়েছিল সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে। কনটেইনারে কোন জায়গায়, কীভাবে লোক ঢুকল সেটি এখন খতিয়ে দেখার কথা বলেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট গ্লোব লিংক অ্যাসোসিয়েটস। তবে লাশটি বাংলাদেশির কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

গ্লোব লিংক অ্যাসোসিয়েটসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুল হক চৌধুরী এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, তাদের মেইন লাইন অপারেটরের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএম ডিপোতে রাখা ওই কনটেইনার মালয়েশিয়ায় পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

গত ৪ অক্টোবর ডিপো থেকে খালি অবস্থাতেই সেটি চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয় এবং সেখানে জাহাজে তোলা হয়।

তিনি বলেন, জাহাজটি ৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রওনা দিয়ে ৯ অক্টোবর পেনাং পৌঁছায়, পর দিন জেটিতে নোঙর করে। ১৪ অক্টোবর খালি কনটেইনারটি পেনাং বন্দর থেকে ডিপোতে নিয়ে যাওয়ার পথে নিরাপত্তাকর্মীরা দুর্গন্ধ পেয়ে সেটি তল্লাশি করে লাশটি পায়।

বিএম কন্টেইনার ডিপোর নির্বাহী পরিচালক ক্যাপ্টেন মায়নুল আহসান জানান, খালি কনটেইনারটি তাদের ডিপো থেকে গিয়েছিল। তবে ডিপো থেকে কোনো কনটেইনার বন্দরে যাওয়ার সময় ফটকে সিকিউরিটি চেক শেষে ছবি তুলে ও ভিডিও করে রাখা হয়। তাদের এখান থেকে কনটেইনারটি খালিই গেছে।
ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে জানিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, কোন পয়েন্টে কনটেইনারে লোক ঢুকেছে, সেটি খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে।
ওই লাশ আদৌ কোনো বাংলাদেশির কিনা তাও দেখা হচ্ছে।

তবে এ ঘটনায় বন্দরের পক্ষ থেকে এখনো কোনো তদন্ত কমিটি হয়নি বলে জানান তিনি।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *