ফের তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত

নিউজ ডেস্ক:: নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তে ফের স্থলমাইন বিস্ফোরণে জিরো লাইনে আশ্রিত এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও এক রোহিঙ্গা।

রোববার ভোরে এ বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা গেছে।

নিহত রোহিঙ্গা কিশোরকে কোনার পাড়া আশ্রিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের কবরস্থানে সকাল ১১টায় দাফন করা হয়েছে।

নিহত রোহিঙ্গা কিশোরের নাম ওমর ফারুক (১৫)। বাবার নাম মো. আইয়ুব। তারা ব্লক-৩ রহিম মাঝির অধীনস্থ তুমব্রু জিরো লাইন কোনার পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।

আহত রোহিঙ্গা হলেন—মো. সাহাবুল্লাহ (২৮)। তার বাবার নাম আবুল হোসেন। তারা ১০ নম্বর ব্লকে তুমব্রু জিরো লাইন কোনার পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গা বসবাস করে আসছেন।

এ বিষয়ে রোহিঙ্গা নেতা দীল মোহাম্মদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আবদুল কালাম বলেন, ‘মাইন বিস্ফোরণে কোনাপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দুজন রোহিঙ্গা গুরুতর আহত হয়। পরে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। ভোর ৫টার দিকে ৩৪ বিজিবির অধীনস্থ তুমব্রু বিওপির সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫-এর মধ্যবর্তী শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার পূর্বে ও মিয়ানমারের ২ বিজিপির কোনাপাড়া পোস্ট থেকে আনুমানিক ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণ ঘটে। এগুলো মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই দুই রোহিঙ্গা অবৈধভাবে মিয়ানমার থেকে সিগারেট এবং কফি আনতে গিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে আহত হয়। পরে একজনের মৃত্যু হয়। নিহত রোহিঙ্গা রোহিঙ্গা কোনার পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে তাদের কবরস্থানে সকাল ১১টায় দাফন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝি দিল মোহাম্মদ।

এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে চোরাই গরু আনতে গিয়ে মর্টারশেল বিস্ফোরণে সীমান্তের হেডম্যান পাড়ার বাংলাদেশি যুবক অংঞাথাইন তঞ্চঙ্গ্যার (২৩) পা উড়ে যায়। আর সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে নিহত হন ইকবাল নামে এক রোহিঙ্গা। আহত হন আরও কয়েকজন।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, তিনি কোনারপাড়ার রোহিঙ্গা স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা নিহতের খবর শুনেছেন। বিস্ফোরণে ওই রোহিঙ্গার দুই পা উড়ে গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা গেছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *