নিউজ ডেস্ক:: দেশে টানা পঞ্চম দিন ২৪ ঘণ্টায় ছয়শর বেশি করোনা পজেটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিন শনাক্তের হার ছাড়িয়েছে ১৫ শতাংশ। ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ হয়েছে-যা বৃহস্পতিবার ছিল ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। দৈনিক শনাক্তের এ হার ১০ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৮৮১টি ল্যাবে চার হাজার ৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬২০ জন। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে মোট শনাক্ত বেড়ে ২০ লাখ ২০ হাজার ৭৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৪৭১ জনই ঢাকা জেলার বাসিন্দা। একদিনে দেশের ৩৯ জেলায়ই নতুন রোগী পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৯ হাজার ৩৪৭ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পঞ্চাশোর্ধ্ব এই ব্যক্তি হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ছিলেন।
একদিনে ৩৪৫ জন করোনা পজিটিভ রোগীর সেরে উঠেছে। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৬২ হাজার ১৬৪ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ সাপ্তাহিক রোগতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, আগের সপ্তাহের তুলনায় সর্বশেষ সপ্তাহে সারা বিশ্বে সংক্রমণ ২৮ শতাংশ কমেছে। তবে বিশ্বের সব দেশে বা অঞ্চলে তা কমেনি। কোনো কোনো দেশ বা অঞ্চলে সংক্রমণ বেড়েছে। সরকারি হিসাবেই দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে দেড়-দুই সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশে সংক্রমণ ৪৭ শতাংশ বেড়েছে। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে একই সময়ে বেড়েছে ১১৭ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৫ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৬১ কোটি ৪১ লাখ।