স্বামী হিসেবে রবিনকে কেন পছন্দ, জানালেন পূর্ণিমা

বিনোদন ডেস্ক:: প্রায় ২ মাস আগে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা।

তবে পারিবারিক বিভিন্ন কারণে বিষয়টি এতদিন প্রকাশ্যে আনেননি তিনি। বর্তমানে রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকায় স্বামী আশফাকুর রহমান রবিনের সঙ্গে এক ছাদের নিচে বসবাস করছেন এ অভিনেত্রী।

চার বছরের বন্ধুত্ব ও প্রেমের পরেই রবিনকে বিয়ে করেছেন পূর্ণিমা।

স্বামী হিসেবে কেন আশফাকুর রহমান রবিনকেই পছন্দ হলো তার? এ প্রশ্নের জবাবে নতুন স্বামীকে প্রশংসা ভাসালেন পূর্ণিমা।

‘মনের মাঝে তুমি’ খ্যাত নায়িকা বলেন, ‘ছেলেটা আসলেই খুব ভালো। ভালো একজন মানুষ। যার কাছে সবকিছু বলা যায়। যাকে সবক্ষেত্রে বিশ্বাস করা যায়। আমরা কাজের ক্ষেত্রে কাজই করেছি। আবার বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে সেটা সেভাবে বজায় রেখেছি।’

শুধু রবিনই নয়; নতুন স্বামীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও পছন্দ হয়েছে বলে জানালেন পূর্ণিমা।

তিনি বলেন, ‘রবিনদের পরিবারটা খুবই রক্ষণশীল। আমিও সব জায়গায় গিয়ে ঘুরে বেড়ানো, রেস্তোরাঁয় খাওয়া এরকম টাইপের মানুষ না। ভালো লাগা, বোঝাপড়া থেকে মনে হয়েছে ঠিক আছে। সেখান থেকে দুজনেরই যখন মনে হয়েছে জীবনসঙ্গী হিসেবে, পার্টনার হিসেবে আমাদের এগোনো উচিত, তখনই পরিবারকে জানাই।’

তবে অভিনেত্রী হওয়ায় রবিনের পরিবার তাকে মেনে নিবে কিনা সেই দুশ্চিন্তাও ছিল পূর্ণিমার।

তিনি জানালেন,  ‘আমার একটা ব্র্যাকগ্রাউন্ড আছে। আর তাদের রক্ষণশীল পরিবার। সবকিছু মিলিয়ে সবাই আমাকে তারা গ্রহণ করবে কিনা; এ নিয়ে একটা চিন্তা তো ছিলই। কিন্তু তার পরিবার খুব সুন্দরভাবে বিষয়টিকে গ্রহণ করেছে।’

কীভাবে রবিনের সঙ্গে পরিচয় সে কথাও জানালেন পূর্ণিমা। বর্তমানে দেশের বহুজাতিক একটি কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

তবে পরিচয়কালীন রবিন অন্য একটি চাকরি করতেন বলে জানালেন পূর্ণিমা।  সেই চাকরিসূত্রেই নাকি রবিনের সঙ্গে তার পরিচয়।

পূর্ণিমা বলেন, ‘তখন সে (রবিন) অন্য একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করতো। ওই কোম্পানির পক্ষ থেকে অনেক ইভেন্ট হতো। ইভেন্টে নিজের অধীনে থাকা ব্র্যান্ডগুলো দেখতো রবিন। সংগীতশিল্পী, ক্রিকেটারসহ বিভিন্ন অঙ্গনের তারকাদের নিয়ে ছিল তাদের কাজ। আমিও টানা একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করি। ওখান থেকেই আমাদের কথাবার্তা শুরু হয়। শুরুতে বন্ধুত্ব ছিল। পরে দুজনেই চিন্তা করে দেখলাম, একসঙ্গে সংসার করতে পারি। পরিবারকে জানাতেই তারা আমাদের মতামত গুরুত্ব দেন। বন্ধুত্ব, বিশ্বাস আর শ্রদ্ধাবোধ সবই পেয়েছি রবিনের মধ্যে। সেখান থেকেই মূলত সম্পর্ক মজবুত হয়। ’

বিয়ের সিদ্ধান্তটাও হুট করে নেওয়া বলে জানালেন পূর্ণিমা।  এ তারকা বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছে হুট করেই। রোজার ঈদের পর। পরিবারকে যখনই জানানো হয়েছে ওনারা বলেছেন, ‘তাহলে আর দেরি করো না। এক দুই সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে করে ফেল।’ কোনো ধরনের কোনো প্রস্তুতিও ছিল না। হুট করেই আমরা বিয়েটা করেছি।’

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *