স্পোর্টস ডেস্ক:: সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বুধবার রাতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখল রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ দিকের মাত্র ৫ মিনিটের ঝড়ে হতাশায় ডুবল ম্যানচেস্টার সিটি।
৮৯ মিনিট পর্যন্তও ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। রেফারির শেষ বাঁশির অপেক্ষায় উল্লাসটা আটকে রেখেছিল সিটি সমর্থকরা।
কিন্তু সেই উল্লাসটা এলো রিয়াল সমর্থকদের কাছ থেকে। মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে সিটির জালে ৩ গোল জমা করে জয় ছিনিয়ে নিল স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
৯০তম মিনিটে দুটি গোল করে জয় ছিনিয়ে নেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রদ্রিগো। ৯৫তম মিনিটে সফল স্পট কিকে বেনজেমা স্কোরশিটে নাম লেখালে ৩-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ।
এমন হার কীভাবে মেনে নিলেন ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্দিওলা? সে কৌতূহল জাগতেই পারে।
তবে পেপ গার্দিওলা মনে করেন, প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের চিন্তাই চাপ তৈরি করেছিল, আর সেই ভেঙে পড়েন তার দলের খেলোয়াড়রা।
রিয়ালের কাছে হারের পর বিটি স্পোটর্সকে গার্দিওলা বলেন, ‘হ্যাঁ (এটা নিষ্ঠুর)। আমরা কাছাকাছি ছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারিনি। আমরা সেরাটা দিতে পারিনি। তবে সেমিফাইনালে খেলোয়াড়রা চাপ অনুভব করে যে, তাদের এটা করতেই হবে। আমরা খুবই কাছে ছিলাম। কিন্তু ফুটবল আনপ্রেডিক্টেবল, আমাদের মেনে নিতেই হবে।’
তবে ছেলেরা ভালো খেলেছে বলে জানালেন গুরু গার্দিওলা।
সিটি কোচ বলেন, প্রথমার্ধে আমরা যথেষ্ট ভালো ছিলাম না। তবে আমরা ভালো খেলেছি। এমন নয় যে তারা একের পর এক আক্রমণ করেছিল। কিন্তু শেষ সময়টা পার্থক্য গড়ে দিল! মিলিটাও, রড্রিগো, ভিনিসিয়াস, বেনজেমা সহ তারা অনেক খেলোয়াড়কে বক্সে রেখেছিল তারা। এবং তারা ক্রস দিয়ে দুটি গোল করল। এ হারে ছেলেরা ভেঙে পড়েছে। তাদের নতুন করে একসাথে করতে হবে।আমাদের শেষ চারটি খেলা রয়েছে।
তথ্যসূত্র: স্কাই স্পোর্টস