ওসমানীনগরে সরকারী রাস্তার গাছ লুটের অভিযোগ

ওসমানীনগর প্রতিনিধি:: ওসমানীনগরে এলজিইডি’র মালিকানাধীন সরকারী রাস্তার ৩টি গাছ কেটে লুটের অভিযোগ পাওয়া পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে এলজিইডি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। একই দিনে ৩টি বড় বড় গাছ কেটে লুট করার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক কৌতুহল দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, গতকাল (আজ ১৩ মার্চ) রবিবার ফজরের পর স্থানীয় তাজপুর ইউনিয়নের কাদীপুর গ্রামের ভিতর দিয়ে যাওয়া সরকারী এলজিইডির মালিকানাধীন রাস্তার মদরিছ আলীর বাড়ির সামন থেকে ৬/৭জন লোক একটি চাম্বল ও দুইটি মেহগুনি গাছ কেটে ঠেলাযোগে নিয়ে যায়। ফজরের নামাজ শেষে স্থানীয় বাসিন্দা সাইস্তা মিয়া ও জাবেদ আহমদ রাস্তায় প্রাত ভ্রমণে বের হলে দেখতে পান শামিম ৬/৭জন লোক নিয়ে ঠেলাযোগে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে।

এরপর বিষয়টি স্থানীয় ওসমানীনগর এলজিইডি অফিসে জানালে এলজিইডি কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

গ্রামের বাসিন্দা জাবেদ আহমদ জানান, আমি সকালে রাস্তায় হাটতে গিয়ে দেখি শামিম, নুর ইসলাম, ফারুক মিয়া রাস্তার গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। সাইস্তা মিয়া জানান, ফজরের নামাজ শেষে আমি রাস্তায় হাটতে বের হলে দেখি ৬/৭ জনের একটি গ্রæপ রাস্তার গাছ কেটে ঠেলা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এদের মধ্যে আমি শামিমকে চিনতে পেরেছি।

সজ্জাদুর রহমান জানান,আমি সকালে বাড়িতে ছিলাম না। বাড়িতে এসে শুনেছি কয়েকজন এলজিইডির রাস্তা থেকে পঞ্চায়েতি গাছ কেটে নিযেছে।

সদ্য সাবেক ইউপি সদস্য নেফুর মিয়া জানান, আমাদের গ্রামের এলজিইডির রাস্তায় পঞ্চায়েতি রোপণকৃত শত শত গাছ রয়েছে। শুনেছি আজ (রবিবার) সকালে শামিমসহ ৬ জন লোকে ৩টি গাছ কেটে নিয়েছে। সরকার ও পঞ্চায়েতের অনুমতি ছাড়া রাস্তার গাছ কাটার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

সাবেক ইউপি সদস্য শফিক বলেন,কাদীপুর গ্রামের রাস্তায় পঞ্চায়েতি লোকজনের রোপণকৃত গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। আমি এর প্রতিবাদ জানাই। বর্তমান ইউপি সদস্য কবির আহমদ জানান, রাতের অন্ধাকারে কে বা কারা কাদিপুর রাস্তা থেকে ৩টি গাছ কেটে নিয়েছে। আমাকে বিষয়টি বন বিভাগ ও এলজিইডি কর্মকর্তা জানিয়েছেন। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি। ওসমানীনগর

উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) শেখ মখলিছুর রহমান জানান, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে শুনেছি কাদিপুর রাস্তা থেকে ৩টি গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা প্রকৌশলী এস এম আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, স্থানীয় লোকজন ফোন করে জানিয়েছেন, রাস্তা থেকে সরকারী তিনটি গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বন বিভাগ ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পরবর্তি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অরুনোদয় পাল ঝলক বলেন, আমি গাছ কাটার ব্যাপারে কিছু জানিনা।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হানা বলেন, কাদীপুর রাস্তা থেকে তিনটি গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে শুনেছি। বিষয়টি স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী তদারকি করছেন।

গাছ কাটার অভিযোগে অভিযুক্ত শামিম বলেন, আমি আমার গাড়িতে আছি। আমি সেখানে ছিলাম না।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *