একই দড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: প্রতিবেশীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক হয় গৃহবধূর। পরিবার ওই অবৈধ সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় একই দড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে গৃহবধূ ও তার প্রেমিক। এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের নদীয়া জেলার করিমপুরের কলাবাড়িয়া গ্রামে।

ভারতের সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ এর খবরে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে প্রেমিকের নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে তাদের দুজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত বধূর নাম সবিতা দাস। তার বয়স ২১ বছর। করিমপুরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। একই এলাকার অমীয় দাসের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে গৃহবধূর। গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। প্রথম দিকে বিষয়টি আড়ালে থাকলেও বেশি দিন তা সম্ভব হয়নি। নাবালক প্রতিবেশীর সঙ্গে গ্রামের বধূর সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যায় পরিবার ও এলাকাবাসী। স্বাভাবিকভাবে এর পর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র অশান্তি সৃষ্টি হয় দুই পরিবারের মধ্যে।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, দুই পরিবার থেকে এ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তাদের। কিন্তু পরিবারের অমতে সম্পর্ক চালিয়ে যায় তারা। সোমবার রাতে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায় ওই প্রেমিক-প্রেমিকা। এর পর পাশের নির্মীয়মাণ একটি বাড়ি থেকে তাদের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সম্পর্ক স্বীকৃতি পাবে না জেনেই একসঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় ওই প্রেমিক যুগল।

সবিতা দেবীর স্বামী স্বপন দাস জানান, তার স্ত্রীর ফোনে বিবাহবহির্ভূত প্রেমালাপের কথা জানতে পেরে তার স্ত্রীকে সংসার না ভাঙার অনুরোধ করেছিলেন অনেকবার। সোমবার তার স্ত্রী রাত ১১টার দিকে বাথরুম করতে যাবে বলে বাইরে বের হয়, বেশ কিছুটা সময় পার হয়ে যাওয়ার পর খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে কথা বলা হবে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *