আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্র আফ্রিকার তিন দেশ ইথিওপিয়া, মালি ও গিনির শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা বাতিল করেছে ।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ছাড়াও সাম্প্রতিক সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
এ বিষয়ে আফ্রিকার দেশগুলোকে আগেই হুশিয়ার করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্র শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, আফ্রিকান গ্রোথ অ্যান্ড অপরচুনিটি অ্যাক্ট’-এর অধীনে বাণিজ্য সুবিধার শর্ত লঙ্ঘনের কারণে ওই তিন দেশের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন গত নভেম্বরেই বলেছিলেন, টাইগ্রে অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে ইথিওপিয়ার শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা বাতিল হতে পারে। আর সম্প্রতিক সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় মালি ও গিনির ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের ফলে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খাবে ইথিওপিয়ার বস্ত্র শিল্প, যারা বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডের জন্য পোশাক তৈরি করে। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল শিল্পের একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হয়ে ওঠার যে স্বপ্ন ইথিওপিয়া দেখছিল, তাও হুমকির মুখে পড়বে।
দীর্ঘ যুদ্ধ আর রাজনৈতিক সংঘাতের ক্ষতি, করোনাভাইরাস মহামারি আর উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বেকায়দায় থাকা ইথিওপিয়ার অর্থনীতিকে নতুন করে চাপে ফেলবে যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত।
তবে ওয়াশিংটনে ওই তিন দেশের দূতাবাস এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।