আমিনুর রশিদ রুমান-শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:: বিসর্জনের আনন্দে উচ্ছ্বাসে বিসন্নতায় শ্রীমঙ্গলে দেবী দূর্গা পাড়ি দিয়েছেন কৈলাসে।
আসছে বছর আবার মায়ের ফিরে আসার প্রতিশ্রুতিতে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০ ঘটিকায় শহরের সাগরদীঘিতে দেবীকে বিদায় জানান সনাতন ভক্তকুল। এর পাশাপাশি পূজা মন্ডবের আশে পাশের বিভিন্ন পুকুর ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। প্রতি বছর নানা ধর্মীয় আচার শেষে বিজয়া দশমীর সূর্যাস্তে প্রতিমা বিসর্জন দেয়ার চিরচারিত প্রথা ভেঙ্গে এবার দিনের প্রথম প্রহরে প্রতিমা বিসর্জন পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, গত ১১ অক্টোবর মহালয়ার মাধ্যমে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হয়। এবছর করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে সরকারী স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বতঃস্ফূর্ত সনাতন ধর্মামলম্বীরা শারদীয় দূর্গোৎসবে অংশ নেন। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, কুমিল্লায় ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে দেবী বিসর্জনের নতুন সময় করে নির্ধারণ করা হয়েছে। হয়নি কোন সোভাযাত্রা। দেবী বিসর্জন পরবর্তি সিঁদুর খেলা, কোলাকুলি, শুভেচ্ছা বিনিময় ও মিষ্টি বিতরন করেন ভক্তরা। আর দিনের প্রথম ভাগে প্রতিমা বিসর্জনের ঘটনা মৌলভীবাজার জেলায় এটিই প্রথম।
পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে শহর জুড়ে নেয়া হয়েছিল নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জানা গেছে, শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের লক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ বাসভবনে এক জরুরী সভা হয়। সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়, পৌর মেয়র মহসিন মিয়া মধু, এএসপি সার্কেল (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) সহিদুল হক মুন্সি ও বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ঐ সভার সিদ্ধান্তক্রমে অনাকাংখিত ঘটনা এড়াতে সকাল ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে দেবী বিসর্জন এর সময় ঠিক করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.শামীম অর রশীদ তালুকদার বলেন,শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিমা বিসর্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে মাননীয় সংসদ সদস্য’র বাসভবনে অনুষ্ঠিত জরুরী সভার নেয়া সিদ্ধান্ত পূজা উৎযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ সম্মতি প্রকাশ করায় আজ সকাল ১০ টা থেকে ১১ টার মধ্যে শান্তিপূর্ণ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি শারদীয় দূর্গোৎসব পালনে শ্রীমঙ্গলের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে সার্বিক সহযোগীতার জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বী, পূজা উৎযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।