শেষ যাত্রার আয়োজকদের পিপিই দিলেন অ্যাডভোকেট নাসির খান

মানুষের শেষ যাত্রার আয়োজন যারা করেন, তাদের খবর রাখেন খুব কম মানুষ। তবে এ ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান।

নিজের জন্মদিনে তিনি ঠিকই তাদের খবর রাখেন। আর তাই আস্থা ও নির্ভরতার প্রতিক হিসাবে তাদের পাশে ছুটে গেলেন পারসোনাল প্রটেক্ট ইকুইপমেন্ট বা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে। এই করোনাকালে এ যে বড় জরুরী- গোরখোদকসহ শেষ যাত্রার প্রস্তুতির সাথে জড়িত প্রায় প্রত্যেকের।

শনিবার বিকেল ৪টার দিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মালিকানাধিন নগরীর বৃহৎ গোরস্তান হযরত মানিক পীর (র.) এর টিলা এলাকায় গিয়ে তিনি তা সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেন।

মহামারি করোনার হানায় বিপর্যস্ত আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারত। সেখানে চিকিৎসা সুবিধা প্রায় ভেঙে পড়েছে। এমন দুঃসময় বাংলাদেশে এখনো শুরু না হলেও স্বস্তিতে থাকার কোন সুযোগ নেই।

প্রায় প্রতিদিনই মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মারাও যাচ্ছেন। আর ভারত সীমান্তে অবস্থিত আমাদের সিলেট শহর এমনকি পুরো জেলা চরম ঝুঁকিতে। ভারত থেকে যেমন চোরাই পথে আসছে চোরাচালানের চালান, তেমনি আসছে গরু মহিষসহ অন্যান্য পণ্য। এমনকি চোরাই পথে মানুষও আসছে।

এ অবস্থায় সিলেট মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা সদরের অধিবাসীদের নিয়ে শংকিত সচেতন মানুষ। তাদের সবাইকে সচেতন করতে অভিযান চলছে। চলছে প্রচারণা।

যদিও করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের দাফনের জন্য সরকার নির্ধারিত বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। তবে তা মোটেও যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এ অবস্থায় সিলেট সিটি করপোরেশনের গুরুস্তানে লাশ সৎকারের সাথে জড়িতদের সুরক্ষা সামগ্রী খুব প্রয়োজন।

অন্তত তাদের নিরাপদ রাখতে এসব সামগ্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও মনে করছেন সচেতন নাগরিকবৃন্দ।

পিপিই বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা সংক্ষেপে এসব কথাই তুলে ধরলেন এবং অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির প্রতি অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের সচেতনতার জন্য ব্যাপক প্রশংসাও করেন তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আজমল আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, স্বাস্থ বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার শাকির আহমদ শাহিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক মজির উদ্দিন, কোষাধক্ষ শমসের জামাল, সদস্য শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ, আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ হোসেন খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদ রহমান, যুবলীগ নেতা মিজান আহমদ, খালেদুর রহমান, ১৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি সেবুল আহমদ সাগর, মাজারের সুপারভাইজার রজব আহমদ, মাওলানা জাকির আহমদ।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *