নেতাকর্মী নিয়ে শহিদ মিনারে বিধান সাহা

শরীফ গাজী::হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাঠে নেমেছেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা বিধান সাহা। সকাল ১০ টা থেকে নেতাকর্মীসহ সিলেট কেন্দ্রিয় শহিদমিনারে অবস্থান করছেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, হরতালের নামে কোনো কিছু ভাঙচুর কিংবা সরকারি/ বেসরকারি স্থাপনায় ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করা হলে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনে সকাল থেকেই সিলেট নগরের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করেছেন হেফাজতের কর্মী–সমর্থকেরা। যানবাহন চলাচলেও বাধা সৃষ্টি করতে দেখা গেছে। সিলেট নগরের তালতলা এলাকায় কাজীর বাজার মাদ্রাসার সামনে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের সড়কে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে সিলেটের বিভিন্ন সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে আছেন।

আজ রোববার সকাল থেকে সরেজমিনে দেখা গেছে, যানাবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ। অনেকে ঘর থেকে বেরিয়ে সড়কে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটে রওনা হচ্ছেন। আবার অনেককে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায়ও অবস্থান করতে দেখা গেছে।

সিলেট নগরের লামাবাজার এলাকার বাসিন্দা মনিলাল সিংহ বলেন, তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে প্রতিদিন অফিসে যান। আজ হরতাল থাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা পাওয়া যাচ্ছে না। একই এলাকার বাসিন্দা রাহুল চক্রবর্তী বলেন, উপায় না দেখে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক যাত্রী গন্তব্যের উদ্দেশে ঘর থেকে বের হয়ে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন না পেয়ে ঘরে ফিরে যাচ্ছেন। আবার অনেককে কদমতলী এলাকায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। নগরের মিরাবাজার এলাকার বাসিন্দা শাহীন আহমদ বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে হবিগঞ্জ যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়েছিলাম। এখন দেখছি কোনো যানবাহন নেই। কিছু সময় অপেক্ষা করে দেখব, যাওয়ার কোনো উপায় পাওয়া যায় কি না।’

ঢাকা থেকে সিলেটে ঘুরতে আসা আবু তালেব বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটে এসেছিলাম। আজ সকালে ঢাকা ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি কোনো যানবাহন চলছে না। এখন হোটেলে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর উপায় দেখছি না।’

সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. খলিলুর রহমান বলেন, সিলেট থেকে ঠিক সময়েই ঢাকার উদ্দেশে কালনী এক্সপ্রেস ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে গেছে। হরতালের কারণে ট্রেনে যাত্রীদের তেমন চাপ পড়েনি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বর্তমানে ট্রেনে আসনবিহীন কোনো ধরনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। যে কারণে আগের মতো অধিক যাত্রী নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করা যাচ্ছে না। এখন অগ্রিম টিকিট করেই যাত্রীরা যাত্রার দিন–তারিখ নির্ধারণ করছেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফ উল্যাহ বলেন, সিলেটে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। চলমান কর্মসূচিতে সিলেট নগরের কোথাও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার খবর আসেনি।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *