প্রচলিত জনবল কাঠামো সংশোধন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজসমূহে বিধিমোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ৫ হাজার ৫০০ জন অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষককে দ্রুত এমপিও ভুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নগরীর চৌহাট্টাস্থ সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিলেট জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক মাসুদ করিমের সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক লিটন চন্দ্র শর্মার পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. খসরুজ্জামান, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রভাষক কাশমীর রেজা, সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. সাখাওয়াত হোসেন আজাদ, কলেজ শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক জ্যোতিষ মজুমদার, বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব প্রভাষক কামরুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন সিলেট জেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ প্রভাষক রুবিনা জাহান রুবি, সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রভাষক মো. রিপন মিয়া, সহ-সভাপতি প্রভাষক প্রাণেশ চন্দ্র দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক মো. আতাউর রহমান, প্রভাষক জিএম রাশিদুল আলম, সহ-কোষাধ্যক্ষ প্রভাষক বর্ণালি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. শাহীন আলম, প্রভাষক পিন্টু রঞ্জন মল্লিক, প্রভাষক প্রভাকর চৌধুরী ও প্রভাষক মুক্তা শর্মা প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বেসরকারি কলেজসমূহে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত সারাদেশের ৫ হাজার ৫০০ জন অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক জনবলে অন্তর্ভুক্ত না থাকার অজুহাতে দীর্ঘ ২৮ বছর থেকে সরকারি সুযোগ সুবিধার (এমপিও) বাইরে রয়েছি। এমপিওভুক্ত করতে প্রতিমাসে ১২ কোটি বছরে ১৪৪ কোটি টাকার বাজেটে ব্যয়বরাদ্দ হলেই আমাদের স্বপ্নপূরণ হয়; জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়। এমতাবস্থায় আমরা জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা, বিশ্ব মানবতার মা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষাবান্ধব সরকারের সুযোগ্য শিক্ষামন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনার মাধ্যমে প্রচলিত জনবল কাঠামো সংশোধন করে এমপিওভুক্তি চাই, বেঁচে থাকার সুযোগ চাই।
মানববন্ধন শেষে সিলেটের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।