প্রেমের ফাঁদে বিশ্বনাথে গণধর্ষণে শিকার এক কিশোরী

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক :: ঈদুল ফিতরের রাতে (২৫ মে) প্রেমের ফাঁদে ফেলে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মাহতাবপুর ১৪ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলা নং ০১ (তাং ১.০৬.২০ইং)।

মামলার অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের বশিরপুর গ্রামের আশিক মিয়ার পুত্র মিজান মিয়া (২০), একই গ্রামের বারিক মিয়ার পুত্র ইমন আহমদ জসিম (২১) ও আবদুল মিয়ার পুত্র আফিজ মিয়া (২০)।

এদিকে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকে স্থানীয় মাতব্বরেরা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ভিকটিমের পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

তবে বাদী তার লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, কিছু দিন পূর্বে ভিকটিম কিশোরীর সাথে অভিযুক্ত মিজানের পরিচয় হয়। সেই সুবাদে মিজানের সাথে মোবাইল ফোনে প্রায়ই কথা হতো গণধর্ষণের শিকার হওয়া কিশোরী।

আর সেই সুবাধে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ওই (ঈদের দিন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে কিশোরীকে ফোন করে দেখা করতে বলে মিজান। তখন সে (কিশোরী) ঘর থেকে বের হলে মিজান ও তার সহযোগী জসিম-আফিজ’সহ আরো ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা যুবক তাকে ঝাপটে মুখ চেপে ধরে। এরপর তারা মেয়েটিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তি নির্জন স্থানে (সরকারি পুকুরের পাড়ে) নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তাকে সজ্ঞাহীন করে সারা রাত পালাক্রমে পাশবিক নির্যাতন করা হয়। ভোরে ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তি বাড়ির বাসিন্দা করুনা চন্দ্র মেয়েটিকে রক্তাক্ত ও সজ্ঞাহীন অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে ডেকে তুলে পরিচয় জানতে পারেন। এসময় তিনি (করুনা) তার ঘর থেকে কাপড় এনে মেয়েটির শরীর ঢেকে তার নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেন। বাড়িতে ফেরার পর মেয়েটির কাছ থেকে বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানার পর তারা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেন। এরপর ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, মামলাটি তদন্ত করবে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। আর তদন্ত সাপেক্ষে এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *