দক্ষিণ এশিয়ায় হোম বেসড ওয়ার্কার্স রা একটা ফ্যাক্টর, যারা বাসায় বসে আয় রোজগার করে বা পাশের বাজারে অথবা ছোট ছোট মেলায় তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় করে থাকে বাংলাদেশেও হোম বেসড ওয়ার্কার্স এর সংখ্যা একেবারে কম না , তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি(গ্রাসরুটস) সহঃবেশ কয়েকটি সংগঠন ২ দশকের ওপর এদের নিয়ে এবং এদের দাবি দাওয়া নিয়ে কর্মরতঃমূলতঃ নিম্নে মধ্যবৃত্য জনগণ ই এই হোম বেসড ওয়ার্কে জড়িত, হোম বেসড ওয়ার্কার্স এর শতকরা ৮০ % মহিলা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাবে বিভিন্ন এন,জি, ও বা ব্যাঙ্কের ছোট ঋণ নিয়ে এদের কাজ করতে হয়।
অতি সম্প্রতি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এন,জি, ও দের কিস্তি আদায় জুন পরজান্ত আদায় বন্ধ করেছেনএবং জুন পরজান্ত যাতে ব্যাংক ঋণ খেলাপি করা না হয় সে কথা বলেছেন ,ধন্যবাদ মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে কিন্তু আজকের করোনা পরিস্থিতিতে এদের ভবিস্ব্যত কি ? বাসায় আবধ্য থাকায় প্রয়োজনীয় কাচা মাল সংগ্রহ দুর্বহ , তা যদিও সংগ্রহ করলো কিন্তু তা বিক্রি করবে কোথায় ? পহেলা বৈশাখ ও ঈদ ২ টি বর বাজার এবার সন্দিহান, এদের নিজিস্ব কোন দোকান নাই , আজকের উন্নয়নে এরা বিভিন্ন সময় মেলায় বা আই,টি র মাধ্যমেও পণ্য বিক্রি করে থাকে সে রাস্তাও বন্ধ এ বিষয়ে কোন রাজনৈতিক দল কেও (হোম বেসড ওয়ার্কার্স দের নিয়ে ) কিছু বলতে দেখা যায় না , দিন মজুর দের মত এরা রাস্তায় ও বের হতে পারে না , এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের দেশের কুটির শিল্পের ওপর আঘাত আসার পাশাপাশি এক বিশাল অংশের জনগণ শুধু বেকার হওয়াই না ব্যাপক সমস্যার মূখে পরবে।
এমতাবস্থায় আমরা মনে করি অতি সত্বর এই শ্রেণীর ওয়ার্কার্স দের তালিকা ভুক্ত করে তাদের প্রণোদনা দেওয়া , বাজার চালু হওয়ার সাথে সাথে সরকারী/ বেসরকারি ব্যাবস্থাপনায় এদের উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাত করনের ব্যাবস্থা করে দেওয়া প্রয়োজন , এমন টা হতে পারে স্থানীয় সরকারের /বা সরকারী অফিসের পারকিং এ সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে এদের পণ্য বিক্রির নিরাপদ ব্যাবস্থাপনা করে দেওয়া বা যে সকল মার্কেট নতুন হয়েছে কিন্তু চালু হয় নাই সে মার্কেট সমূহে অস্থায়ী হিসাবে বসতে দেওয়া , এবং যত দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় সকলের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা এবং পুনঃঃ ব্যাবসা আরম্বের জন্য (যেহেতু প্রায় ১ মাস যাবত পরিস্থিতি অনুক‚লে না থাকায় ব্যাবসার পুঁজি অনেকেই ভেঙ্গে ফেলতে বাধ্য হয়েছে)তাদের ছোট ঋণের ব্যাবস্থা করা ,ছোট ছোট কারখানার বা বাসা ভাড়া করে যারা পণ্য উৎপাদন করে তাদের বাসা ভাড়ার জন্য যাতে ১/২ মাস চাপ সৃষ্টি না করে তার ব্যাবস্থা করা প্রয়োজন।
আমরা আশাকরি সামগ্রিক পরিস্থিতি উপলব্ধি করে সকল রাজনৈতিক দল সমূহ ঐক্য বধ্য ভাবে ক্ষুদ্র এই শিল্প কে বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে আসবে ।
সর্বোপরি এ শিল্প বা হোম বেসড ওয়ার্কার্স দের সমস্যা সমাধানে আমাদের দেশে ওখঙ-ঈ-১৭৭ অনুসাক্ষর এখন সময়ের দাবী।।
জয় বাংলা হিমাংশু মিত্র সভাপতি সাউথ এশিয়ান গ্রাসরুটস ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (ঝঅএউঋ) কেন্দ্রীয় কমিটি।