কোথাও নেই মিসবাহ সিরাজ

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:: এ যেন আকাশ থেকে পতন! এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ একে একে ‘শূন্য’ হয়ে পড়বেন, তা হয়তো কেউই ভাবেননি। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে তা-ই। মিসবাহ সিরাজ এখন কোথাও নেই।

গেল ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ হারান এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। টিকে ছিলেন সিলেট জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদে। কিন্তু সেই পদও টিকলো না বেশিদিন।

গতকাল সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মিসবাহ সিরাজকে পিপির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ পদে এসেছেন এডভোকেট নিজাম উদ্দিন। নিজাম জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নতুন কমিটিতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রত্যাশী।

সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পাবলিক প্রসিকিউটর পদ হারিয়ে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ এখন পুরোপুরি ‘পদশূন্য’।

রাজনৈতিক অঙ্গনে ধারণা ছিল, আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে (গেল ২০ ও ২১ ডিসেম্বর হয়) গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পেতে পারেন মিসবাহ সিরাজ। তবে প্রথম দফায় আওয়ামী লীগের যে আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়, তাতে নাম ছিল না মিসবাহ সিরাজের। সিলেট বিভাগ থেকে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান শফিউল আলম নাদেল। এরপরও মিসবাহ সিরাজের অনুসারীরা আশায় ছিলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে সেখানে দেখা যেতে পারে তাকে। কিন্তু পুরো কমিটি যখন ঘোষণা হলো, সেখানেও নাম আসেনি মিসবাহ সিরাজের।

মিসবাহ সিরাজের অনুসারীদের আশা ছিল, দলীয় পদ যেহেতু তিনি পাননি, সেহেতু তাকে সরকারের আইন সংক্রান্ত শাখায় গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হতে পারে। তবে শেষপর্যন্ত নতুন দায়িত্ব তো পানইনি, যে দায়িত্বে ছিলেন, সেটিও মিসবাহের ‘হাতছাড়া’ হয়ে গেছে।

জানা গেছে, ৭০’র দশক থেকে আওয়ামী ঘরানার রাজনীতির সাথে জড়িয়ে আছেন মিসবাহ সিরাজ। ওই সময়ে মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। ১৯৮১ সালে বৃহত্তর সিলেটের ৪ জেলা নিয়ে গঠিত সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৮৩ সালে হন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্বাহী সদস্যও ছিলেন তিনি। ১৯৯০ সালে আওয়ামী লীগের সাথে জড়ান মিসবাহ সিরাজ।

২০০২ সালে তিনি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক হন। ২০০৮ সাল পর্যন্ত দুই দফায় তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের ১৮তম জাতীয় সম্মেলনে চমক হিসেবে আবির্ভূত হন মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। তাকে দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। এরপর ২০১২ সালে ১৯তম জাতীয় সম্মেলন এবং ২০১৬ সালে ২০তম জাতীয় সম্মেলনেও একই পদে দায়িত্ব পেয়ে ‘হ্যাটট্রিক’ হয় মিসবাহ সিরাজের।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে সিলেট জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পান মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। গেল ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি এ পদে দায়িত্ব চালিয়ে যান।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *