নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে উত্তরপূর্ব ভারতে হরতাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নতুন নাগরিকত্ব বিল পাশের কয়েক ঘণ্টা পর উত্তরপূর্ব ভারতে হরতালে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে, গাছ কেটে রাস্তা বন্ধ করে হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার এই বিক্ষোভ সংঘটিত হয়েছে বলে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়েছে।

বুধবার আইনটি ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে তোলা হবে। এতে তিনটি প্রতিবেশী দেশ থেকে মুসলমান ছাড়া অন্যরা ধর্মাবলম্বীরা নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন।

বিভিন্ন ইসলামপন্থী, বিরোধী ও মানবাধিকার গোষ্ঠীর দাবি, ভারতের ২০ কোটি মুসলমানকে কোণঠাসা করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডারই অংশ এই আইন।

উত্তরপূর্ব ভারতের স্থানীয়রা বিভিন্ন কারণে এই আইনের বিরোধীতা করছেন। তাদের আশঙ্কা, এতে বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক হিন্দু অভিবাসীর ঢল নামবে।

বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে স্যান্ডউইচের মতো অবস্থিত অঞ্চলটির বাসিন্দারা এসব অভিবাসীদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে মনে করেন।

মঙ্গলবার প্রায় একডজনের মতো সংগঠনের ডাকা হরতালে এ অঞ্চলটি পুরো অচল হয়ে পড়েছে। রাস্তায় গাড়িঘোড়া, অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট এদিন বন্ধ ছিল।

আসামের সবচেয়ে বড় শহর গুয়াহাটিতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ভারী লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশকে তাদের ওপর চড়াও হতে দেখা গেছে।

উত্তরপূর্ব ভারতের ছাত্র সংগঠনের ছায়া গ্রুপের নেতা সমজ্জুল ভট্টাচার্য বলেন, উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে এই বন্ধে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। আমরা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন মেনে নেয়া হবে না। বিক্ষোভ আরও তীব্র হবে বলে তিনি হুশিয়ারি করেন।

তার মতে, আসামসহ উত্তরপূর্ব ভারতীয় রাজ্যগুলো ইতিমধ্যে ব্যাপক অবৈধ বিদেশিদের বোঝা বহন করছে। ত্রিপুরার কর্তৃপক্ষ বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া খবর ছড়ানো থেকে বিরত রাখতে তারা মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছেন।

সহিংসতার আশঙ্কায় আসামের কামরূপ জেলায় দুই বা ততোধিক ব্যক্তির জড়ো হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি নামের একটি সংস্থা বুধবার সকালে স্থানীয়দের রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *