সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক :: কানাইঘাটের নিজগাছবাড়ি নয়াগ্রামে জেসমিন আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধূ স্বামীর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে মারা গেছেন বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর স্বামী ইসলাম উদ্দিনের বাড়ির লোকজন আত্মগোপনে চলে গেছে। তবে, স্বামীর পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ঘরের তীরের সাথে বেধে আত্মহত্যা করেন ওই গৃহবধূ।
নিহত জেসমিন আক্তারের মামা জানান, জেসমিনের স্বামী সিএনজি অটোরিক্সা চালক ইসলাম উদ্দিনের ২য় স্ত্রী সে। ২ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করে তাকে। বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে নির্যাতন করে জেসমিনকে। এছাড়া জেসমিনের কোন সন্তানাদি নেই। সম্প্রতি স্বামী ইসলাম উদ্দিন গাঁজা বিক্রিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। এতে জেসমিনের উপর আরো নির্যাতন বাড়িয়ে দেয়। মেয়ের পরিবারের দাবি স্বামীসহ পরিবারের লোকজন মিলে জেসমিনকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। জেসমিনের বাবার বাড়ি নিজ দলইকান্দি আকুলি গ্রামে। সে তোতা মিয়ার মেয়ে।
খবর পেয়ে কানাইঘাট থানার সেকেন্ড অফিসার স্বপন চন্দ্র সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন। এরপর রাত ১টায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। স্বপন জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকান্ড দাবি করা হচ্ছে। তবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।