রমজানের অজুহাতে সিলেটে তিনগুন বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:: গত দুদিন আগে পেয়াজের পাল্লা (৫ কেজি) ছিল ৬০ টাকা। মঙ্গলবার (৭ মে) প্রতি কেজি পিয়াজের দাম ৩০ টাকা। এভাবে রমজান শুরু হওয়ার সাথে সাথে হু হু করে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। ঠিক তেমনি বৃদ্ধি পেয়েছে কাচা মরিচের দামও। দুদিন আগে কাচা মরিচ ৪০/৫০ টাকা বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা করে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকাশচুম্বি দাম শুধু পিয়াজ আর কাঁচা মরিচেই নয়, অন্যান্য ভোগ্য পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার সিলেটের বাজারে কলার ডজন বিক্রি হয়েছে ৯০-১০০ টাকা। অথচ একদিন আগেও এক ডজন কলা বিক্রি করা হয় ৪০-৪৫ টাকা।

নিত্যপণ্যের মধ্যে প্রতিকেজি রসুন ১১০ টাকা, ছোলা ৭৫ টাকা, বেসন ১২০ টাকা, আদা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডাটা শাক ও পুঁই শাক আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। কাঁচকলা হালি ৫০ টাকা, শসা কেজি ৪০ টাকা, বরবটি কেজি ৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ও পটল ৫০ টাকা এবং আলু ৫ কেজি ৭৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে দেশি মুরগির ডিম হালি ৬০ টাকা, হাঁসের ডিম হালি ৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগির ডিম হালি ৩২ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কেজিপ্রতি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০ টাকা। লাল মুরগি প্রতিপিস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা। আর রোজার আগে আগুন লেগে যেন মাছের বাজারের দরদামেও। রুই-কাতলা দু’দিন আগে ২০০-২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও রোজা আসতেই হয়ে গেলো ৪৫০-৫০০ টাকা। আর ইলিশের কেজি ১২০০-১৫০০ টাকা, পাবদা ৬০০-৭০০, গুলসা টেংরা ৮০০, বাইম (বড়) ১ হাজার টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

ক্রেতারা অভিযোগ করেন, রোজাকে সামনে রেখে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম সিন্ডিকেট করে বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা ব্যবসায়ীরাও এখন সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। যে কারণে বাজারে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় ক্রেতা সাধারণকে।

জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রোজায় ভোগ্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে সিলেট জেলা প্রশাসন থেকে পাঁচটি মনিটরিং টিম করা হয়েছে। পাশাপাশি ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দু’টি ও সিলেট চেম্বার অব কমার্সের একটি টিম করা হয়েছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *