এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে আমাদের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু ওইদিনের ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ অনাকাঙ্খিত। এ ঘটনায় যে বা যারাই জড়িত থাকুক, ছাত্রলীগ দায় এড়াতে পারেনা বলে তারা মনে করেন। তাই অনভিপ্রেত এই ঘটনার জন্য এমসি কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষে হুসাইন আহমদ ও সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষে নাজমুল ইসলাম নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য রাখেন।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট রনজিত সরকার এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ব্যক্তিগতভাবে ফটো সাংবাদিকদের সঙ্গে তার সম্পর্ক অত্যান্ত সুগভীর। রাজনীতির ময়দানে চলার পথে অনেক সময় ফটো সাংবাদিকরাই তাকে রক্ষা করেছেন। এমসি কলেজ ক্যাম্পাসের সাম্প্রতিক হামলার ঘটনা তাকে ব্যতীত করেছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরণের ঘটনার পুণরাবৃত্তি না হয়, এ জন্য তিনি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন। সভায় বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাস পুরকায়স্ত তাঁর সমাপনি বক্তব্যে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রনজিত সরকারকে ঘটনাটির সুন্দর ও সম্মানজনক সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কর্মক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলার আহবান জানান।
সভায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক আল আজাদ, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম নবেল, সাবেক সহ সভাপতি মঈন উদ্দিন, সমকালের সিনিয়র রিপোর্টার মুকিত রহমানী, জেলা প্রেসক্লাবের সহ সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল বাতিন ফয়ছল প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সমকালের স্টাফ রিপোর্টার ফয়ছল আহমদ বাবলু, রিয়েল টাইমসের সম্পাদক সাঈদ চৌধুরী টিপু, জেলা প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক ওলিউর রহমান ওলি, ক্লাবের নির্বাহী সদস্য এস এম রফিকুল ইসলাম সুজন, প্রকাশিতব্য দৈনিক জাগরণের সিলেট প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম রুকন, ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শংকর দাস, সিনিয়র সহ সভাপতি মামুন হাসান, সহ সভাপতি নাজমুল কবীর পাবেল, প্রচার সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইউছুফ আলী, ফটো সাংবাদিক মিটু দাস জয় প্রমুখ।