মেয়র আরিফের অভিযানে ফাঁকা ফুটপাত

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক :: সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর রাতের অভিযানে ফাঁকা হয়ে গেছে সিলেট নগরের ফুটপাত।

গতকাল নগরীর ব্যস্ততম কোর্ট পয়েন্টসহ কয়েকটি এলাকার ফুটপা্তে আর ভাসমান ব্যবসায়ীদের বসতে দেখা যায়নি। এতে করে পথচারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ফুটপাথ ব্যবহার করতে পেরেছেন। এমন দৃশ্য সিলেটে আগে কখনো দেখা যায়নি। সিলেটের ফুটপাতকে দখলমুক্ত করতে তেমন সফলতা পাননি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। প্রতি সপ্তাহেই অভিযান চালালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। চিহ্নিত হকার নেতাদের আইনের আওতায় এনেও কোনো কাজ হয়নি। এমনকি সিটি করপোরেশনের দেয়াল ঘেঁষে ব্যবসা খুলে বসেছিল হকাররা।
সাম্প্রতিক সময়ে হকার উচ্ছেদ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এই অবস্থায় সিলেটে ফের ফুটপাতের হকার উচ্ছেদে নেমেছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে ফের নগরীর ফুটপাত দখল করায় শুক্রবার গভীর রাতে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান চালিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে জিন্দাবাজার হয়ে চৌহাট্টা, চৌহাট্টা থেকে রিকাবীবাজার, সুরমা পয়েন্ট, তালতলা পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের ফুটপাথ দখল করে রাখা অর্ধশতাধিক ভ্যানগাড়ি ও বিপুল পরিমাণ আসবাবপত্র জব্দ করা হয়।
অভিযান শেষে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, ‘জনসাধারণের চলাচলে ফুটপাত বিরাট বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আদালত ও সিটি করপোরেশন থেকে হকারদের বারবার নির্দেশনা দেয়ার পরও তারা আইন মানছেন না। যার কারণে ফুটপাথ দিয়ে পথচারীদের চলাচল অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।’ তিনি বলেন, ‘ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করায় পথচারীদের হাঁটতে হচ্ছে মূল সড়ক দিয়ে। এতে অনেক সময় দুর্ঘটনায় পড়ছেন নগরবাসী’। এ কারণেই কঠোর অবস্থানে নামে সিটি করপোরেশন।

অভিযানে ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান ও ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম শওকত আমীন তৌহিদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমানসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। গতকাল নগরীর ব্যস্ততম এই সড়কগুলো ঘুরে দেখা গেছে ভিন্ন পরিবেশ। দুপুরের আগ পর্যন্ত সুনসান নীরব ছিল ফুটপাথ। পথচারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটছেন ফুটপাতে। তবে বিকেল হতেই হকারদের কেউ কেউ ফুটপাতে দোকান খুলে বসেন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *